সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) টুইটার হ্যান্ডেল সাময়িকভাবে সাসপেন্ড। শনিবার রাত আটটা ২০ নাগাদ কংগ্রেসের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইটে জানানো হয়, রাহুল গান্ধীর টুইটার হ্যান্ডেল সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবং তা ঠিক করার প্রক্রিয়া চলছে। ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে নিজের ফলোয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। যদিও, কংগ্রেসের টুইটের কিছুক্ষণ পরই ওয়ানড়ের সাংসদের অ্যাকাউন্টটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
কেন হঠাত সাসপেন্ড করা হল রাহুলের অ্যাকাউন্ট? টুইটারের তরফে সরাসরি কিছু জানানো না হলেও মনে করা হচ্ছে, দিল্লির নির্যাতিতার পরিবারের ছবি টুইট করার জেরেই সাময়িক এই শাস্তির মুখে পড়ে থাকতে পারেন কংগ্রেস নেতা। আসলে গত বুধবার দিল্লিতে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল ৯ বছরের এক দলিত তরুণীকে। নৃশংস অত্যাচারের শিকার ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন কংগ্রেস সাংসদ। যা অনুচিত তো বটেই আইনের চোখে অপরাধও। ঘটনাচক্রে শনিবার সকালেই সেই পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হল টুইটারের (Twitter) তরফে। এদিন সকাল থেকেই নির্যাতিতার পরিবারের ছবিটি মাইক্রো ব্লগিং সাইটে আর দেখা যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: বাধা সত্ত্বেও ত্রিপুরায় TMC-তে যোগ ৩০০ জনের, বিপ্লবের রাজ্যে শক্তি বাড়াতে ৫ সদস্যের ‘টিম অভিষেক’]
দিল্লির এই নৃশংস ঘটনায় (Delhi minor rape case) কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। গত বুধবার মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে চোখের জল মুছে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরই মারাত্মক ‘ভুল’ করে তীব্র সমালোচনার শিকার হন তিনি। টুইটারে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতি লেখেন, “এই মা-বাবার চোখের জল শুধু একটা কথাই বলছে, ওঁদের মেয়ের জন্য সুবিচার চায়। আর এই সুবিচারের পথে আমি ওঁদের সঙ্গে আছি।” কিন্তু আইন বলছে, নির্যাতিতার ছবি এভাবে প্রকাশ্যে আনা যায় না। আর রাহুল গান্ধী সেটাই করেছিলেন। সম্ভবত সেকারণেই শাস্তির মুখে পড়লেন তিনি।