সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরাবর বাম ছাত্র রাজনীতির আঁতুরঘর বলে পরিচিত দেশের অন্যতম বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জওয়ারলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। এখনকার কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপট দেখায় ‘শহুরে নকশাল’রা। ছাত্র রাজনীতির নামে এখানে অতিবামদের বাড়বাড়ন্ত। বছর কয়েক আগে এখানকার ছাত্রদের গ্রেপ্তার করে দেশদ্রোহের মামলাও দায়ের করা হয়েছে। চব্বিশে সেই ‘বামপন্থী’ জেএনইউ-তেই কার্যত উলটপুরাণ। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় (Ayodhya) রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার লাইভ (LIVE) দেখানো হবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সংঘের নির্দেশে এই আয়োজন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি (ABVP) সদস্যরা। ওইদিন মন্দিরে পুজো দিয়ে সেই প্রসাদও বিলি করা হবে পড়ুয়াদের মধ্যে।
বছর আটেক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন তৎকালীন ছাত্র সংসদের (JNUSU) সভাপতি কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar), সংগঠনের সদস্য উমর খলিদ-সহ অনেকে। কিন্তু সেখানে দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। UAPA ধারায় মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে কানহাইয়া কুমার মুক্তি পেলেও মেধাবী ছাত্র উমর খালিদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা এখনও চলছে। এর পর ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সভানেত্রী ঐশী ঘোষ আক্রান্ত হন ক্যাম্পাসে। অন্ধকারে হস্টেলে ঢুকে অভিযোগ উঠেছিল এবিভিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। তখন থেকেই সেখানে বাম ও বিজেপির ছাত্র সংগঠনের মধ্যে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা স্পষ্ট হয়।
[আরও পড়ুন: ‘বাকিরা কী করবে জানি না! আমি তো যাবই’, রামমন্দির উদ্বোধন নিয়ে ভাজ্জির বিস্ফোরণ]
২২ তারিখ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখানো হবে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার লাইভ সম্প্রচার। সংঘের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও তা দেখানোর আয়োজন হয়েছে। সেভাবেই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ওইদিন লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা করেছে এবিভিপি। সূত্রের খবর, ওইদিন যাতে গোটা প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্প্রচারিত হয়, তার জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও এবিভিপিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র দেখানোর আয়োজন হয়েছিল এই ক্যাম্পাসে। তাতে পুলিশ আপত্তি করলেও গোপনে তা সম্প্রচার হয়। এখন অযোধ্যার ধর্মীয় অনুষ্ঠান এখানে নির্বিঘ্নে সম্প্রচারিত হয় কিনা, সেদিকে নজর সকলের।