সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিনস (Jeans) পরাই ছিল ‘অপরাধ’! আর সেই কারণেই এক কিশোরীকে (Teenager) পিটিয়ে খুন (Murder) করার অভিযোগ উঠল তারই ঠাকুরদার বিরুদ্ধে। এমনই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হল যোগীরাজ্য। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) নারী নিরাপত্তা নিয়ে বারবারই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এরই মধ্যে আরেকবার ফের প্রকট হল নারী বিপন্নতার বিষয়টি।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, ১৭ বছরের ওই কিশোরী তার বাবার সঙ্গে লুধিয়ানায় থাকত। কিন্তু সম্প্রতি সে গ্রামের বাড়িতে থাকতে এসেছিল। তার শহুরে পোশাক পছন্দ ছিল না বাড়ির লোকেদের। জিনস, টপ কিংবা ট্রাউজারেই স্বচ্ছন্দ কিশোরীকে তার কাকা ও ঠাকুরদা ভর্ৎসনা করত। এই ধরনের পোশাক সে যেন আর না পরে, এমনই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কোনও হুমকিকেই পাত্তা দিত না ওই কিশোরী। গত সোমবারও এই নিয়ে প্রচণ্ড ঝামেলা হয়েছিল। তারপরও বৃহস্পতিবার জিনস পরতে দেখা যায় ওই কিশোরীকে। এরপরই তাকে বেধড়ক মারধর করে তার ঠাকুরদা ও অন্যরা।
[আরও পড়ুন: Pegasus বিতর্কে ধুন্ধুমার সংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তৃতার কাগজ ছিঁড়লেন তৃণমূল সাংসদ]
কিছুক্ষণের মধ্যেই অচেতন হয়ে লুটিয়ে পড়ে মেয়েটি।
অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আত্মীয়রা। কিন্তু পথেই মারা যায় সে। কিশোরীর মৃত্যুর পরেই যেন হুঁশ ফেরে অভিযুক্তদের। যে করো হোক নিজেদের নিরপরাধ প্রমাণ করতে কাছের এক সেতু থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় মৃতদেহটি। কিন্তু দেহটি নিচে না পড়ে মাঝপথে ঝুলতে থাকে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। ওই কিশোরীর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
খবর পেতেই মেয়েটির মামা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ঠাকুরদা-সহ চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঠাকুরদা ও এক অটো চালককে গ্রেপ্তার করেছে। অটো চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে দেহটি সেতু থেকে ফেলতে সাহায্য করেছিল।