সোমনাথ রায়: ফের উপত্যকায় জঙ্গি আতঙ্ক। পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে গুলির শব্দ ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অমরনাথ যাত্রার আগেই দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার ওই অঞ্চলে পর্যটকদের উপরে হামলার অভিযোগ। গুলিতে পাঁচ পর্যটকের জখম হওয়ার কথা শোনা গেলেও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি। যেখানে গুলির শব্দ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীদের যৌথ বাহিনী পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে। আহতদের মধ্যে দু'জন স্থানীয় ও তিনজন পর্যটক। এদিকে অসমর্থিত এক সূত্রের দাবি, হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পহেলগাঁও মূলত তার জঙ্গল, স্বচ্ছ জলের সরোবর এবং বিস্তীর্ণ তৃণভূমির জন্য বিখ্যাত। পর্যটকদের কাছে এই এলাকার আকর্ষণ অনতিক্রম্য। এবার সেখানেই জঙ্গি হামলা। ওই অঞ্চলে পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ায় করেই একমাত্র পৌঁছনো যায় বলে জানা যাচ্ছে। সেই দুর্গম এলাকাতেই এবার হামলা জঙ্গিদের। এক প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, দুই আহতকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। কমিটির সভাপতি তারিক হামিদ বলেছেন, ''নিরীহ পর্যটকদের উপর নির্বোধ ও কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলার কথা জানতে পেরে অত্যন্ত মর্মাহত। এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং সভ্য সমাজে এর কোনও স্থান নেই।''
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের থাবা ক্রমেই আলগা হচ্ছে বলে মোদি সরকার দাবি করে। কিন্তু সম্প্রতি কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহাকে দাবি করতে দেখা গিয়েছে, উপত্যকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দিনদিন বাড়ছে। যা খুবই উদ্বেগের বিষয়। যদিও গত ৯ এপ্রিল মুম্বইয়ের এক সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, “বহু প্রজন্ম ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের যুবসমাজ বোমা, পাথর ছুড়ে, বন্দুক চালিয়ে ভবিষ্যত নষ্ট করেছে। এর আগে কয়েক দশক ধরে দেশের শাসকরা এই আগুন নেভাতে পারেনি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি চিরতরে বদলে গিয়েছে। আমাদের সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং সংবেদনশীলতার কারণে আজ দিন বদলছে জম্মু ও কাশ্মীরে। সেখানকার যুবসমাজ আজ উন্নয়নের পথে হাঁটছে।” কিন্তু তাঁর সেই দাবি অগ্রাহ্য করে রবিবারই মনোজ বলেন, “বিশেষ করে জম্মুতে জঙ্গিদের কার্যকলাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।” এর মধ্যেই এবার ফের জম্মু ও কাশ্মীরে চাঞ্চল্য ছড়াল জঙ্গি হামলা।
