সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর ইচ্ছেতেই পিছিয়েছিল নীতি আয়োগের বৈঠকের দিন৷ ইদের উদযাপন থাকায় পূর্ব নির্ধারিত দিনে বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পরে দিন পালটানো হয়৷ রবিবার বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এবং প্রত্যাশামতোই এদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝড় তুললেন তিনি৷
[ দিল্লির সমস্যা মেটাতে দরবার মমতার, সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ]
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান বক্তব্য ছিল, রাজ্যভেদে কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে৷ এ নিয়ে তাঁর ক্ষোভ নতুন নয়৷ প্ল্যানিং কমিশন ভেঙে যে নয়া সংস্থান গড়ে তোলা হয়েছে, তার একাধিক সিদ্ধান্তে নিয়ে বিভিন্ন সময় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি৷ এদিনও রাজ্যের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রের মুখোমুখি হয়ে সমালোচনায় সরব হলেন তিনি৷ অর্থ কমিশনের নয়া নীতিতে বেশ ক্ষুব্ধ মমতা৷ এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো হয়েছে যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া বা নন পারফর্মিং রাজ্যগুলির দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হবে৷ বিশেষ আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হবে৷ মমতার বক্তব্য, যাঁরা পিছিয়ে পড়েছে তাঁদের সাহায্য করা নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই৷ কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কাজে যাঁরা এগিয়ে বা পারফর্মিং রাজ্য তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে বা বঞ্চনা সহ্য করতে হবে৷ বাংলার পাশাপাশি দক্ষিণের বেশ কিছু রাজ্যও ভাল কাজ করেছে৷ কিন্তু ফার্স্ট বয় হলেই তার দিকে নজর কেন কম দেওয়া হবে? নমুনা হিসেবে তিনি বাংলার ঋণ শোধ করার কথা বলেন৷ গত সাত বছর ধরেই এ কথা বলে আসছেন৷ এবছরও তাঁকে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করতে হবে৷ সেই টাকা মিটিয়েই রাজ্যের উন্নয়ন করতে হয় তাঁকে৷ এবং তা তিনি করেও দেখিয়েছেন৷ তাহলে কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা তাঁকে কেন মেনে নিতে হবে৷ কেন অন্যান্য রাজ্যের মতো তিনিও সমান সুবিধা পাবেন না? এটাই প্রশ্ন মমতার৷ খোলাখুলি তা তিনি জানিয়েওছেন৷ অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে খোদ প্রধানমন্ত্রীও তাঁর বক্তব্য নীরবে শুনতেই বাধ্য হয়েছেন৷ কারণ পারফর্মিং রাজ্য আরও সাহায্য পেলে আরও ভাল কাজ করবে৷ কিন্তু নীতি আয়োগের সিদ্ধান্ত যেন সে কথা বলছে না৷ এই নিয়েই আপত্তি মমতার৷
The post রাজ্যের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে নীতি আয়োগের বৈঠকে ঝড় তুললেন মমতা appeared first on Sangbad Pratidin.