সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের দুমকায় ৩৫ বছরের মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ১৭ জন মদ্যপ। এই পরিস্থিতির কারণ খুব ভালভাবেই জানেন লালু প্রসাদ যাদব প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি (Shivanand Tiwari)। সংবাদ সংস্থা এএনআই’কে সেকথাই জানিয়েছেন তিনি।
আরজেডি নেতার কথায়, “ধর্ষণের মানসিকতা তৈরি করে সিনেমার আইটেম ডান্স, বিজ্ঞাপন এবং ফোনের পর্নোগ্রাফি। উপযুক্ত শাস্তির বিধান দিয়ে তা শেষ করা যাবে না। যতক্ষণ মানুষকে এই বিষয়গুলি প্ররোচিত করবে, ততক্ষণ ধর্ষণ আটকাতে পারবেন না।”
[আরও পড়ুন: স্যানিটাইজেশনে ছড়ানো ব্লিচিংই অন্ধ্রের ‘রহস্যময়’ রোগের উৎস! সন্দেহ WHO প্রতিনিধিদের]
বিহারের ভোজপুর জেলা থেকে শিবানন্দ তিওয়ারির উত্থান। প্রথমে আরজেডির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করলেও পরে জনতা দল ইউনাটেডে (JDU) যোগ দেন তিনি। সেই দলের হয়েই রাজ্যসভায় প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। কিন্তু পরে জনতা দল বহিষ্কৃত হওয়ার পর ফের আরজেডি’তে ফিরে আসেন। দুমকা গণধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রবীণ নেতা বলেন, “উপজাতি এলাকায় কোনও মেয়ে কিংবা মহিলার ধর্ষণের কথা আগে কল্পনাও করা যেত না। আদিবাসীদের সংস্কৃতিতে ধর্ষণের অস্তিত্বই নেই। কিন্তু আধুনিক ভোগবাদী সমাজ উন্নয়নের নামে নারীকে পণ্য হিসেবে তুলে ধরেছে।”
উল্লেখ্য, দুমকা গণধর্ষণ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। পাঁচ সন্তানের জননী ওই মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই একজনকে তিনি শনাক্ত করেছেন। ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন সরকারকে একহাত নিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এক্কেবারেই ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ জানান গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র প্রতুল শাহদে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি করে এই ঘটনার বিচার করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।