সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় লরেন্স গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA)। হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড লরেন্স বিষ্ণোই-এর ভাই আনমোল বিষ্ণোইকে মোস্ট ওয়ান্টেড হিসেবে ঘোষণা করল এনআইএ। আনমোলের খোঁজ দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
তদন্তকারী সূত্রে জানা যাচ্ছে, একাধিক অপরাধ মামলায় অভিযুক্ত আনমোল 'ভানু' নামেই বেশি পরিচিত। ২০২২ সালে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনে যুক্ত ছিল ভানু। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ১৮ টি অপরাধ মামলা রয়েছে। ১৪ এপ্রিল সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় ভানুর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে মুম্বই পুলিশ। তদন্তকারী সূত্রে খবর, ভুয়ো পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারত ছেড়েছে এই অভিযুক্ত। গত বছর তাঁকে নাকি কেনিয়াতে দেখা গিয়েছিল। চলতি বছরে এই অভিযুক্তকে দেখা যায় কানাডাতে।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তনমন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি, ১২ অক্টোবর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাকারী আনমোল বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল। কানাডা এবং আমেরিকা থেকে সোশাল মিডিয়া স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে হত্যাকারীকে সমস্ত রকম নির্দেশ দিচ্ছিল আনমোল। তাঁর নির্দেশ মতোই দশেরার রাতে হত্যাকাণ্ড চালায় পুত্র জিশান সিদ্দিকির অফিসের সামনে বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করে ৩ সুপারি কিলার। এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই তালিকায় রয়েছে ২ হত্যাকারী ও এক অস্ত্র সরবরাহকারীও।
গত ১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন বিধায়ক বাবা সিদ্দিকিকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় আততায়ীরা। পুলিশ সূত্রের দাবি, শুধু বাবা নন, হত্যাকারীদের টার্গেটে ছিলেন সিদ্দিকির পুত্র বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিও। রীতিমতো কপালজোরে রক্ষা পান তিনি। এই খুনের দায় স্বীকার করেছে কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং। দাবি করা হয়, সলমন খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও দাউদ গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগ থাকার জেরেই বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করেছে তারা। এই অপরাধের মূল পান্ডা হিসেবে চিহ্নিত হওয়া মহম্মদ জিশান আখতার দুবছর আগে পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতির মামলা ছিল। এবার এই মামলায় লরেন্সের ভাই আনমোলকে মোস্ট ওয়ান্টেড ঘোষণা করল এনআইএ।