সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে টিকাকরণ (Vaccination) শুরু হলেও বারবার বিতর্ক ঘনিয়েছে টিকার জোগান নিয়ে। এবার সামনে এল একটি তথ্য। জানা গেল, টিকা সংক্রান্ত গবেষণা ও অন্যান্য খাতে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ‘পিএম কেয়ার্স ফান্ড’ (PM CARES) তা তারা রাখেনি। তথ্য জানার অধিকার তথা আরটিআইয়ের উত্তরে এমনটাই জানিয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক!
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সমাজকর্মী লোকেশ বাত্রা তথ্য জানার অধিকার আইনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে জানতে চান। এক জবাবে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ‘‘এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও জনশিক্ষা বিভাগ থেকে যা জানানো হয়েছে, তার ভিত্তি বলা যায় এখনও পর্যন্ত এই খাতে পিএম কেয়ার্সের তরফে কোনও সাহায্য করা হয়নি।’’
[আরও পড়ুন: প্রাক্তন কমেডিয়ানকে পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করল AAP, ঘোষণা কেজরিওয়ালের]
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৩ মে পিএমও-র তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯-এর সঙ্গে ভারতের লড়াইয়ে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা সাহায্য করবে মোদি সরকার। পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে টিকার গবেষণা ও উন্নতিকল্পে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে সেই টাকা খরচ করা হবে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এবার খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রকই জানাল, প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ওই তহবিল থেকে কোনও অর্থসাহায্যই করা হয়নি টিকার টিকা সংক্রান্ত গবেষণা ও অন্যান্য খাতে।
এদিকে গত রবিবারই ১ বছর পূর্ণ হয়েছে করোনার টিকাকরণের। সেই উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত সকলকে কুর্নিশ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মনে করিয়ে দেন, টিকাকরণের (Vaccination) সাফল্যেই করোনার (Coronavirus) সঙ্গে লড়তে সক্ষম হয়েছে দেশ। এড়ানো গিয়েছে প্রাণহানি। এখনও পর্যন্ত দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে ৬৮ শতাংশের। এরই পাশাপাশি এই বছর থেকেই শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ দেওয়া।