সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের জেরে অগ্নিগর্ভ মধ্যপ্রাচ্য। সাত সমুদ্র তেরো নদী পারের এই লড়াইয়ের আঁচ লেগেছে ভারতে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। এই প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ক্রমে ভয়াবহ হয়ে ওঠা পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে আলোচনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
পিটিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার সৌদি বিদেশমন্ত্রী ফয়জল বিন ফারহানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জয়শংকর। ইজরায়েলে হামাসের হামলা যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুজনের মধ্যে। এই ফোনালাপের জন্য সৌদির বিদেশমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন জয়শংকর। সূত্রের খবর, যুদ্ধের আগুন মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়বে বলে উদ্বিগ্ন ভারত। এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতেই রিয়াধকে পাশে চাইছে দিল্লি।
[আরও পড়ুন: তপ্ত প্যারিস, প্যালেস্টাইনপন্থীদের প্রতিবাদ কড়া হাতে দমন ম্যাক্রোঁর প্রশাসনের]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ভারতের সামনে জটিল কূটনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ‘বন্ধু’ রাশিয়ার নিন্দা না করেও আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে নয়াদিল্লি। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধেও এমনই এক ট্রাপিজের খেলায় নামতে হচ্ছে ভারতকে। কারণ, ভারতে বিরাট সংখ্যক মুসলমানের বাস। প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গড়ার লড়াইয়ে তাঁদের সমর্থন ও সমবেদনা রয়েছে। একই সঙ্গে সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক মজবুত নয়াদিল্লির। তাই গাজা ভূখণ্ডে সাধারণ মানুষের উপর হামলার আবহে ইজরায়েলের প্রতি একতরফা সমর্থন জটিলতা তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে, ভারত নিজেও আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের শিকার। আর ইজরায়েল থেকে প্রচুর হাতিয়ারও কেনে দিল্লি। তাই হামাসের নিন্দা করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের বার্তা যথাযথ।