নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনে লোকসভায় ছড়াল আতঙ্ক! এদিন শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়ে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তাদের কাছে গ্যাস ছোড়ার সরঞ্জাম ছিল বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভায় (Lok Sabha) সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ”দুই তরুণ আচমকাই গ্যালারিতে লাফিয়ে নেমে পড়ে। এবং তারা গ্যাস ছুড়তে থাকে। সাংসদরা এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে ধরে ফেলে। দুপুর ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি।”
[আরও পড়ুন: ‘ডাঙ্কি বিমানে’ দেশছাড়া করণি সেনা প্রধান খুনের মাস্টারমাইন্ড!]
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আচমকাই এমন হামলায় তাঁরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। এমনকী, অজ্ঞাতপরিচয়রা গুলি চালাতে পারে বা বোমা ছুড়তে পারে প্রাথমিক ভাবে এমনও আতঙ্ক তৈরি হয় তাঁর মনে। যদিও দুজনকে আটক করা গিয়েছে বলেও জানান তিনি। কী করে লোকসভায় এমন ঘটতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তিনি।
এদিকে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানান, আচমকাই দর্শকাসন থেকে লাফ মারে দুই হামলাকারী। প্রাথমিক ভাবে তাঁর মনে হয়েছিল, হয়তো কোনও সাংসদ পড়ে গিয়েছেন। পরে দেখা যায় বিষয়টা অন্য। কিন্তু কী করে এমন নিরাপত্তায় গলদ দেখা দিল? এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ বলেন, ওরা হয়তো দর্শক হিসেবেই প্রবেশ করেছিল প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে। কিন্তু কী করে জুতোয় করে গ্যাস ক্র্যাকার নিয়ে তারা প্রবেশ করল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ।
এখনও পর্যন্ত যা তথ্য মিলছে তা থেকে দাবি করা হচ্ছে, ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গে ছিল স্মোক গ্রেনেড। কী করে তারা তা পেল, এর পিছনে কোনও গোষ্ঠীর হাত আছে কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বুুধবারই সংসদে হামলার ২২ বছর পূর্তি। সেদিনই এই হামলার ফলে দুইয়ের মধ্যে কোনও যোগ আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।