সোমনাথ রায়, কাশ্মীর: পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Attack) পর কাশ্মীরজুড়ে সেনা অভিযান চলছে। উপত্যকাজুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনিতল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। বেছে বেছে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জঙ্গিদের বাড়ি। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়া লস্কর জঙ্গি ফারুক আহমেদের বাড়ি।
শনিবার গভীর রাতে থেকে কাশ্মীরের ৬ জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে সেনা। অনন্তনাগ, পুলওয়ামা, সোপিয়ান, কুলগাওয়ের বিভিন্ন এলাকায় একযোগে চলছে অভিযান। ওই অভিযান চলাকালীনই কুপওয়ারাতে (Kupwara) ফারুক আহমেদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় সেনা। যদিও ওই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। সে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে বলে খবর। এই নিয়ে গত ৫ দিনে অন্তত ৯ জন জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল।
শুক্রবার বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো জঙ্গি আসিফ শেখের বাড়ি। মঙ্গলবার দুপুরে বৈসরণ ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চারজন। তার মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি। বাকি দুজন কাশ্মীরের বাসিন্দা। সেই কাশ্মীরি জঙ্গিদের মধ্যে অন্যতম আসিফ শেখ। পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত আর এক জঙ্গি আদিল ঠোকর ওরফ আদিল গুরির অনন্তনাগের বাড়িও ধ্বংস করা হয়। সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিল আদিল। দীর্ঘ ট্রেনিংয়ের পর গত বছর সে কাশ্মীরে ফেরে। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদেরকে পথ দেখিয়েছিল এই আদিল। শনিবার আরও বেশ কয়েকজন জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। রবিবারও সেই অভিযান চলছে।
এদিকে রবিবারও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। পহেলগাঁও হামলার পর পাক সরকার শিমলা চুক্তি অমান্য করার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর থেকেই লাগাতার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে পাকিস্তান। রবিবার সকালেও সীমান্তের ওপার থেকে গুলি চালানো হয়। যার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। যদিও দুই পক্ষের গোলাগুলিতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
