সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠকের দিন সেই কর্মসমিতিরই এক সদস্য রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন। বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিং প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছেন আরএসএসের সংগঠনের। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, বিজেপি-তে একজন সাধারণ কর্মী প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত হতে পারেন সংগঠনের জোরে। বস্তুত তাঁর নিশানায় ছিল দলের বর্তমান নেতৃত্ব। এবার দিগ্বিজয়ের সেই সুরে সুর মিলিয়েই কংগ্রেসের আরেক বর্ষীয়ান নেতা শশী থারুরও বললেন সংগঠনে ঝাঁকুনি দরকার।
শনিবার দিগ্বিজয় এক সোশাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, একজন সাধারণ কর্মী থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া, যেটা নরেন্দ্র মোদি করেছেন, সেটা আরএসএসের মতো সংগঠনেই সম্ভব। দিগ্বিজয় এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানীর পায়ের কাছে মাদুর পেতে বসে রয়েছেন। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলছেন, “এই ছবিটা খুব শক্তিশালী। কীভাবে আরএসএস তথা জনসংঘের একজন সাধারণ কর্মী নেতার পায়ের কাছে বসে থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তথা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। এটাই সংগঠনের শক্তি।”
তাৎপর্যপূর্ণভাবে কদিন আগে এই সোশ্যাল মিডিয়াতেই নিজের দল কংগ্রেসের সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সোজা রাহুল গান্ধীকে ট্যাগ করে বলে দিয়েছিলেন, সংগঠনের বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। অথচ শীর্ষ নেতৃত্ব সেটা বুঝতেই পারছে না। দিগ্বিজয়ের সেই সুরে সুর মিলিয়ে শশী থারুর এবার বললেন, "আমরা সবাই বন্ধু। আর এই ধরনের আলোচনা স্বাভাবিক। সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই হবে। সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকতেই পারে না।" থারুর বলছেন, দিগ্বিজয়ের কথা যুক্তিযুক্ত। সংগঠনকে শক্তিশালী হতেই হবে। আর সংগঠনে অনুশাসনও থাকা দরকার।"
উল্লেখ্য, থারুর নিজেও দীর্ঘদিন বেসুরো। যদিও ইদানিং ফের কংগ্রেসের মূল স্রোতে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। শনিবার কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠকেও তিনি হাজির ছিলেন। ফের তিনি কথা বললেন উলটো সুরে।
