shono
Advertisement

‘রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়েছিলেন মুশারফ, তাই…’, থারুরের শোকবার্তাকে কটাক্ষ BJP’র

ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে আগ্রহী ছিলেন মুশারফ, দাবি শশী থারুরের।
Posted: 07:36 PM Feb 05, 2023Updated: 02:33 PM Feb 06, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের (Pervez Musharraf) মৃত্যুর পর শোকবার্তা প্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তা নিয়ে পালটা আক্রমণ করল বিজেপি (BJP) শিবির। পাকিস্তানের প্রশস্তি করতে ব্যস্ত কংগ্রেস নেতা, এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের। তাঁদের মতে, রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চেয়েছিলেন মুশারফ। সেই কারণেই প্রাক্তন পাক সেনাপ্রধানের মৃত্যুতে গভীর শোকাহত কংগ্রেস নেতা থারুর (Sashi Tharoor)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত পালটা দিয়ে বলেছেন, ‘শান্তিপ্রিয়’ মুশারফের জন্যই কার্গিল যুদ্ধ (Kargil War) শুরু হয়েছিল। থারুরের উচিত কার্গিল যুদ্ধের ইতিহাস ভাল করে পড়ে নেওয়া।

Advertisement

মুশারফের মৃত্যুর পর থারুর টুইটে লেখেন, “একটা সময়ে ভারতের চরম শত্রু হলেও ২০০২ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনে উদ্যোগী ছিলেন পারভেজ মুশারফ। রাষ্ট্রসংঘে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে অনেকবার। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে পরিষ্কার ধারণা ছিল তাঁর। শান্তিতে বিশ্রাম নিন আপনি।” এই টুইটের পরেই পালটা দেয় বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র বলেন, কার্গিল যুদ্ধের ইতিহাসটা আরেকবার ভাল করে পড়ে নেওয়া উচিত শশী থারুরের। কারণ মুশারফের আদেশেই লাহোর ডিকলারেশনের শর্ত ভেঙে ভারতে আক্রমণ করে পাক সেনা।

[আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে পিতার জাতি পরিচয়েও মেয়েরা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন, রায় আদালতের]

বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালাও টুইটে আক্রমণ করেন থারুরকে। তিনি বলেন, “ওসামা বিন লাদেন, তালিবানের পাশাপাশি রাহুল গান্ধীরও ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মুশারফ। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে রাহুলকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়েছিলেন। সম্ভবত সেই কারণেই কার্গিল যুদ্ধ বাঁধানো মুশারফের এত তারিফ করছেন থারুর। সন্ত্রাসবাদের সমর্থকের এত প্রশংসা দেখে সত্যিই খারাপ লাগছে।”

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই রোগে ভুগছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ । অবশেষে রবিবার সকালে দুবাইয়ের মার্কিন হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সি মুশারফের মৃত্যু হয়। ইতিহাসের পাতায় মুশারফের সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়ন অবশ্য এটা যে, তিনি হলেন কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের কাছাকাছি পৌঁছনো পাক প্রেসিডেন্ট। তাঁর আমলেই উপত্যকা ইস্যু সমাধানের সবচেয়ে কাছে পৌঁছেছিল। পরবর্তী সময়ে যা ক্রমেই ফিকে হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই থারুর বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করেছিলেন মুশারফ। সেই দাবিকেই পাকিস্তানের প্রশস্তি বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

[আরও পড়ুন: ‘হাম আদানিকে হ্যায় কৌন’, মোদির উপর চাপ বাড়িয়ে প্রতিবাদে নতুন সিরিজ শুরু কংগ্রেসে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement