বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: অনেক চেষ্টা করেও কংগ্রেসের (Congress) সর্বোচ্চ পদে ভোটাভুটি ঠেকাতে ব্যর্থ হল গান্ধী পরিবার। সভাপতি চেয়ারের জন্য মুখোমুখি লড়াইয়ে দলের দুই সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে ও শশী থারুর (Sashi Tharoor)। রবিবার ছিল কংগ্রেস সভাপতি পদে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও দু’জনেই নিজেদের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকায় শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটি করেই সভাপতি মনোনীত করতে হবে কংগ্রেসকে। আগামী ১৭ অক্টোবর সভাপতি পদে নির্বাচন।
কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য মুখোমুখি লড়াইয়ে দলের রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) ও লোকসভার সাংসদ শশী থারুর। ভোটাভুটি হলেও এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ হিসেব বলছে খাড়গের জয় প্রায় নিশ্চিত। রাজ্যসভার প্রবীণ এই সাংসদের পিছনে গান্ধী পরিবারের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। তাই প্রথমে মনে করা হয়েছিল, থারুরকে বুঝিয়েসুজিয়ে লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা হবে। কারণ অনেক রাজ্যের দাবী ছিল ভোটাভুটি এড়িয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচন। কিন্তু কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গান্ধী পরিবারের বিরোধী বলে পরিচিতরা সরাসরি থারুরকে সমর্থন জানায়। ফলে ত্রিবান্দ্রমের সাংসদ নিজের অবস্থানে অনড় থাকায় ভোটাভুটির পথেই হাঁটতে হচ্ছে কংগ্রেসকে।
[আরও পড়ুন: আত্মীয়ার মেয়েকে গর্ভবতী করার পর নজর ছিল নিজের মেয়ের দিকে, রেলকর্মী খুনে দাবি স্ত্রীর!]
এদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে প্রচার চালাচ্ছেন। সোমবার কলকাতায় আসছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। বুধবার শশী থারুরের আসার কথা। ন’হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি ভোট দিয়ে সভাপতি নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রী। ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকা প্রতিটি রাজ্যের পাশাপাশি প্রার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। দলের সর্বোচ্চ পদের নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না থাকায় দেশবাসী অন্যরকম সাংগঠনিক নির্বাচন দেখবে বলে মনে করছে এআইসিসি। এমন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আগে কখনও কোনও দলে নির্বাচন হয়নি বলে জানান এআইসিসির এক সদস্য।
অন্যদিকে, ভারতজোড়া যাত্রার মাঝপথে বিতর্কে জড়ালেন রাহুল গান্ধী। শনিবার কর্নাটকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাভারকারকে ব্রিটিশদের মদতদাতা বলে কটাক্ষ করেন রাহুল। এরজন্য সাভারকার ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিতেন বলেও অভিযোগ করেন। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় পদ্মশিবির। রাহুলকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবিও করা হয়। এদিন মুম্বইয়ে রাহুলের কুশপুত্তলিকা দাহর পাশাপাশি ছবিতে জুতোর মালা পড়ায় গেরুয়া সমর্থকরা। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইট করে রাহুলের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। সাভারকারকে নিয়ে করা মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। সেইসঙ্গে সেই সময় ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে কোন কোন কংগ্রেস নেতা আর্থিক অনুদান নিতেন সেই তালিকা টুইটে প্রকাশ করেন।