সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমাদের মিসাইল কি শুধুমাত্র সাধারণতন্ত্র দিবসে হাততালি কুড়ানোর জন্য?’ এভাবেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শিব সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। সোমবার পাকিস্তানের হামলায় শহিদ হন ভারতীয় সেনার এক ক্যাপ্টেন-সহ চার জওয়ান। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাউত।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-র সামনে চাঁছাছোলা ভাষায় কেন্দ্রকে একহাত নেন এই শিব সেনা সাংসদ। তিনি বলেন, “আমাদের জওয়ানদের লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। আমাদের মিসাইলগুলি কি শুধুই রাজপথে বিদেশিদের হাততালি পাওয়ার জন্য বের করা হয়?” প্রাক্তন শরিক দলের এহেন নজিরবিহীন আক্রমণে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। তবে পাকিস্তানের হামলায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। কাশ্মীরে জওয়ানদের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরাও। ফলে কার্যত কিছুটা ব্যাকফুটে বিজেপি। সীমান্তে লাগাতার পাক গোলাবর্ষণ নিয়ে রাউত বলেন, ‘এবারের ঘটনা সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন নয়। এটি সরাসরি যুদ্ধের আহ্বান। এবার কড়া জবাব না দিতে পারলে বিশ্বে ভারতীয়দের নপুংশক বলে ডাকা হবে।’
শাশুড়ি-বউমার সম্পর্কে ছেদ টেনে জানুয়ারি মাসে এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসে শিব সেনা। তারপরই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকে তারা। রাজনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, এবার পাকিস্তান নীতি নিয়ে মোদি সরকারকে বিপাকে ফেলতে চাইছে সেনা। কারণ মহারাষ্ট্রে বিজেপির উত্থানে প্রাসঙ্গিকতা হারানোর ভয় পাচ্ছে উদ্ধব ঠাকরের দল। তাই উপস্থিতি জানান দিতে আক্রমণকেই পন্থা করে নিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে সোমবার থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে হামলা চালায় পাক সেনা। হামলায় শহিদ হয়েছেন সেনা অফিসার-সহ ৪। আহত হয়েছেন বিএসএফের এক সাব-ইন্সপেক্টরও। ইতিমধ্যে পালটা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন উপ-সেনাপ্রধান সারথ চন্দ। সব মিলিয়ে সীমান্ত-সহ দেশের অভ্যন্তরেও উত্তেজনার স্রোত বইছে।
[বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু নেতাজির? তিনবার তদন্তে ব্রিটিশ সরকারের হাতে একই রিপোর্ট]
The post ‘পাকিস্তানকে জবাব না দিয়ে ভারতের মিসাইল কি শুধু রাজপথে প্রদর্শনের জন্য?’ appeared first on Sangbad Pratidin.