সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মোদি পদবি’ সংক্রান্ত মানহানি মামলায় সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। দু’ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হয় তাঁর, যার জেরে সাংসদ পদ হারান কংগ্রেস নেতা। এরপর দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হলে আর্জি খারিজ হয় রাহুলের। গত ২৫ এপ্রিল গুজরাট হাই কোর্টে (Gujarat High Court) আবেদন করেন তিনি। শনিবার হাই কোর্টের শুনানিতে কংগ্রেস নেতার হয়ে মামলা লড়েন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি (Abhishek Manu Singhvi)। তাঁর কথায়, এই মামলায় বিচার প্রক্রিয়াকে বিকৃত করা হয়েছে। রাহুলের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট মনোভাব দেখানো হয়েছে বলেও দাবি সিংভির।
গুজরাট হাই কোর্টে রাহুলের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি গীতা গোপির এজলাসে। যদিও এই মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। এরপর মামলা ওঠে বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের এজলাসে। শুনানিতে সিংভি উল্লেখ করেন, অভিযোগ দায়েরের এক বছর পরে সিআরপিসি ধারা ৩১৩-এর বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছিল। আরও জানান, সুরাট আদালত মাত্র ১০ মিনিটের শুনানির পরে গান্ধীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে। গুরুত্ববিচারে অতীতের বেশ কিছু মামলার তুলনা টানেন প্রবীণ আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: ‘আতিকের মতো আমাকেও গুলি করে মারবে’, শঙ্কা প্রকাশ উত্তরপ্রদেশের আরেক বাহুবলী নেতার]
সিংভি বলেন, রাহুল গান্ধীর সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করার সময় সুরাটের দায়রা আদালত যে রায়গুলি সামনে রাখে সেগুলি হত্যা, অপহরণ এবং ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের। আরও বলেন, অতীতে সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে গুরুতর মামলাতেও হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে নভজ্যোৎ সিং সিধুর বিরুদ্ধে ওঠা খুনের অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। যেখানেও স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও বর্তমান মামলা ততখানি গুরুতর অপরাধ কিংবা নৈতিক স্খলনের নয়। সিংভি দাবি করেন, এই কারণেই বর্তমান মামলায় স্থগিতাদেশ বাঞ্ছনীয়। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২ মে।
[আরও পড়ুন: মন কি বাতের শততম পর্ব উদযাপনে এসে সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা, উচ্ছ্বসিত পরিবার]
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কর্ণাটকের কোলারে মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্য করায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানি মামলা দায়ের হয়। গত ২৩ মার্চ সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওই মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কংগ্রেস নেতাকে। তাঁকে দু’ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানার সাজা দেওয়া হয়। পরদিনই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন। এর জেরে সম্প্রতি দিল্লির সাংসদ বাংলোও ছেড়েছেন রাহুল।