সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) ছিলেন মুখর মানুষ। সেই সময় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ছিল সংবাদমাধ্যমের চর্চার বিষয়। উপরাষ্ট্রপতি হয়ে কি চরিত্র বদলে ফেললেন? এমন ভাবনার মধ্যেই পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের ‘ভারতকে খাটো করার’ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন ধনকর। ভাঙলেন নীরবতা। বিবিসির (BBC) ‘মোদি’ তথ্যচিত্র নিয়ে যখন সরগরম দেশের রাজনীতি, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের মুম্বই এবং দিল্লির দপ্তরে আয়কর ‘সমীক্ষা’ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা, তখন ধনকড়ের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বুধবার দিল্লিতে নিজের বাসভবনে ‘ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিস’-এর কয়েকজন শিক্ষানবিশ আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “ভারতের গৌরবময় অগ্রগতীকে ছোট করার ষড়যন্ত্র।” কটাক্ষ করেন, “আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের প্রবণতা হল যা বিদেশি তাই নিষ্কলুষ।” এরপর নাম না করে আমেরিকা-ইরাক যুদ্ধ চলাকালীন পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ধনকড় বলেন, “গত শতাব্দীতে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এক জনের কাছে জনজীবন বিপর্যস্ত করার মতো যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে। যদিও পরে সেই দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।”
[আরও পড়ুন: BBC দপ্তরে ৬০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি, দু’দিন অফিসেই রাত কাটালেন আধিকারিকরা]
প্রসঙ্গত, আমেরিকা-ইরাক যুদ্ধের আবহে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, ইরাকের তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান সাদ্দাম হুসেনের কাছে ভয়ংকর অস্ত্র রয়েছে। যা মানবসভ্যতার জন্য বিপজ্জনক। যদিও পরে তেমন অস্ত্র উদ্ধার হয়নি ইরাক থেকে। বুধবার ধনকড় বলেন, “বাকস্বাধীনতার নামে দেশের অগ্রগতীকে ছোট করার ষড়যন্ত্র কখনই মেনে নেওয়া সম্ভব না। সংবিধান এবং জাতীয়তাবাদকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।”