shono
Advertisement

Breaking News

Migrant labourers

কাজের খোঁজে তামিলনাড়ুতে পা রাখতেই অপহৃত বাংলার ১৬ শ্রমিক! ফোনে মুক্তিপণ দাবি, তারপর?

তামিলনাড়ুতে গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম, বহরমপুর এবং বীরভূমের রামপুরহাটের ১৬ জন।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 04:17 PM Mar 29, 2025Updated: 04:23 PM Mar 29, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবিকার সন্ধান আর অতিরিক্ত আয়ের খোঁজে বাংলা ছেড়ে সুদূর তামিলনাড়ু গিয়েছিলেন ১৬ জন শ্রমিক। সেখানে পা রাখতেই একটি গাড়ি করে তাঁদের অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রত্যেকের বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণও চাওয়া হয়। তাতে ভয় পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে থানার দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজন। এতেই মেলে সাফল্য। আপাতত স্বস্তিতে ওই শ্রমিক পরিবারগুলি। কিন্তু কোন কৌশলে এমন সাফল্য, তা জানার আগে একবার ঘটনা সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া যাক।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম ও বহরমপুর থেকে ৮ জন এবং বীরভূমের রামপুরহাটের ৮ জন শ্রমিক বুধবার রওনা হন তামিলনাডুর উদ্দেশে। নিজেদের জীবিকার সন্ধানে সেই দক্ষিণ ভারতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেখানে পা রাখতেই বিপদ। একটি গাড়ি তাঁদের নিতে আসে। ভাবেন, যে সংস্থায় তাঁরা কাজ করবেন, সেখান থেকেই গাড়ি পাঠানো হয়েছে। তাই নিশ্চিন্তে গাড়িতে উঠে পড়েন ১৬ পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই বুঝতে পারেন, তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু তখন কিছুই করার নেই। এরপর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় সালেমে। সেখান থেকে তাঁদের পরিবারগুলিতে ফোন করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ চাওয়া হয়।

তাতেই সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে এলাকার থানায় খবরটি জানান। অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখে অ্যাকশনে নামে পুলিশ। নবগ্রাম, বহরমপুর ও রামপুরহাটের পুলিশ তামিলনাড়ু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল তার টাওয়ার লোকেশন দেখায়, তামিলনাড়ুর সালেমে। সেইমতো তামিলনাড়ু পুলিশ অভিযান চালায় অপহরণকারীদের ডেরায়। দেখা যায়, সেখানেই রাখা হয়েছে বাংলার ১৬ শ্রমিককে। তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ। গোটা অপারেশনে মাত্র ৬ ঘণ্টা লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। ভিনরাজ্যে কাজের সন্ধানে গিয়ে এমন বিপদে পড়ে শ্রমিকরা ফিরে আসতে চান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • তামিলনাড়ুতে কাজের সন্ধানে গিয়ে 'অপহৃত' বাংলার ১৬ শ্রমিক।
  • মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে ফোন, বাংলার পুলিশের তৎপরতায় ৬ ঘণ্টায় উদ্ধার হন তাঁরা।
Advertisement