হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: উত্তরপ্রদেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্যে টাটা সন্স-এর চেয়ারম্যান এন. চন্দ্রশেখরণের সঙ্গে বৈঠক করলেন যোগী আদিত্যনাথ। এই বৈঠকে রাজ্যের প্রযুক্তি-নির্ভর দ্রুত উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা চলে।
আলোচনায় স্পষ্ট হয়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডিজিটাল পরিষেবা, ইলেক্ট্রনিক্স উৎপাদন, প্রতিরক্ষা ও উন্নত পরিকাঠামোতে বিনিয়োগের জন্য উত্তরপ্রদেশ বর্তমানে আস্থার রাজ্য। আর এই অংশীদারিত্বের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে লখনউ। শহরটিকে একটি 'স্মার্ট এআই হাব' হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
টাটা সন্স রাজ্যে একটি বিশ্বমানের 'টাটা-এআই গ্লোবাল ক্যাপাবিলিটি সেন্টার' তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়াও লখনউ, নয়ডা ও বারাণসীতে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস-এর ইউনিটগুলি সম্প্রসারণে জোর দিয়েছে। লখনউ ও নয়ডার টিসিএস ইউনিটে কর্মীদের সংখ্যা ১৬,০০০ থেকে বাড়িয়ে ৩০,০০০ করার প্রস্তাবে মান্যতা দিয়েছে টাটা।
ইলেক্ট্রনিক্স উৎপাদনে রাজ্যের দ্রুত অগ্রগতির কথা মাথায় রেখে টাটা গোষ্ঠী মোবাইল ডিভাইস এবং উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়ানোয় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বৈদ্যুতিক বাস, ইভি ও নতুন গাড়ির মডেল তৈরির ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
প্রতিরক্ষা শিল্প করিডোরেও টাটা গোষ্ঠী বিনিয়োগ বাড়াতে চাইছে। ঝাঁসি সহ বিভিন্ন নোডে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা যান উৎপাদনে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, গোরখপুরে আইআইটি কানপুরের সহযোগিতায় ৪৮ কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি 'সেন্টার অফ এক্সেলেন্স' তৈরি হচ্ছে, যা এআই, সাইবার নিরাপত্তা ও ড্রোন প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দেবে।
সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিকাশে অযোধ্যায় জানুয়ারি ২০২৭-এর মধ্যে মন্দির স্থাপত্যের প্রথম পর্বের সংগ্রহশালা তৈরির কাজ চলছে। মথুরা-বৃন্দাবন অঞ্চলে টাটা সন্স আটটি কুণ্ডের পুনরুজ্জীবনের কাজও হাতে নিয়েছে। কর্মসংস্থান, প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের মাধ্যমে লখনউকে উত্তরপ্রদেশের পরিবর্তনের কেন্দ্রীয় চালক হিসেবে তুলে ধরাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
