সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়াকফ বিল পাশ করানোর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বিজেপির দাবি, সোনিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে। খোদ স্পিকার ওম বিড়লা বলছেন, সোনিয়া যা বলেছেন, তাতে গণতন্ত্রের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। তাঁকে ক্ষমা চাইতেই হবে।

উল্লেখ্য, দু’দিনের দীর্ঘ বিতর্কের পর সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল। রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিলেই এই বিল আইনে পরিণত হবে। কিন্তু সেই বিল নিয়ে বিতর্ক কিছুতেই থামছ না। বিলটি পাশ হওয়ার পর কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী দাবি করেন, বিলটিকে লোকসভায় 'বুলডোজ' করা হয়েছে। এটা সংবিধানের উপর নির্লজ্জ আক্রমণ। অর্থাৎ বিরোধীদের কোনও আপত্তিকে তোয়াক্কা করা হয়নি। সংসদে বহু সাংসদ বিলটির বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু সেই বিরোধিতাকে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি।
শুধু ওয়াকফ নয়, মোদি জমানায় বেসরকারিকরণ, শিক্ষাব্যবস্থা সব নিয়েই সরকারকে প্রশ্ন করেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। সোনিয়া বলেছেন, বিজেপির উদ্দেশ্য তিনটি কেন্দ্রীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ। এক দেশ এক ভোট বিলেরও সমালোচনা করেছেন সোনিয়া। তাঁর দাবি, দেশে স্থায়ীভাবে মেরুকরণ করাই বিজেপির উদ্দেশ্য। ওরা দেশটাকে নজরদারি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেত্রীর এই মন্তব্যেই যাবতীয় বিতর্ক। মূলত ওই 'বুলডোজ' কটাক্ষে আপত্তি করেছে শাসক শিবির। শুক্রবার সংসদে বিজেপি সাংসদরা স্লোগান তোলেন 'সোনিয়া গান্ধী মাফি মাঙ্গো।' খোদ স্পিকার ওম বিড়লা এদিন সংসদে বলেন, "তিন বার ভোটাভুটির মাধ্যমে বিলটি পাশ হল। তারপরও একজন বর্ষীয়ান সাংসদ যে কথাটা বলেছেন, সেটা দুর্ভাগ্যজনক। গভীর রাত পর্যন্ত বিস্তারিত আলোচনা। এত বিতর্কের পর বিল পাশ। সেটা নিয়ে এভাবে প্রশ্ন তোলাটা আসলে সংসদীয় গণতন্ত্রের মর্যাদায় আঘাত।'