সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার কার শরীরে রয়েছে জীবাণু তা দ্রুত জানতে একমাত্র উপায় র্যাপিড টেস্ট। তাই রাজ্যগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে র্যাপিড টেস্টের জন্য চাপ দিচ্ছিল কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কিন্তু চিনা টেস্ট কিটগুলি ত্রুটিপূর্ণ বলে বারবার সরব হয়েছে একাধিক রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যদপ্তর থেকেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল, র্যাপিড টেস্টের কিটগুলি ত্রুটিপূর্ণ। নাইসেড সেই অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছিল। এবার মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) থেকে রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হল যে, চিন থেকে আমদানি করা র্যাপিড টেস্টের কিট দিয়ে করোনা পরীক্ষা আগামী দিন বন্ধ রাখার জন্য।
কারণ হিসাবে ICMR জানিয়েছে, প্রথমত বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে র্যাপিড টেস্ট কিট নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আসছিল। এছাড়ার ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় পরীক্ষার ফলেও একাধিক জায়গায় হেরফের হচ্ছিল। সেই কারণে আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য ব্যবহৃত চিনা র্যাপিড কিটগুলি আপাতত দুদিনের জন্য ব্যবহারে নিষেধ করা হল রাজ্যগুলিকে। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে ICMR-এর এপিডেমিওলজি ও কমিউনিকেবল ডিজিজের প্রধান রমন আর গঙ্গাখেড়কর জানিয়েছেন, ‘একটি রাজ্যে কম পরীক্ষার অভিযোগ পেয়েছিলাম আমরা। সেই মতো আরও তিনটি রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, পরীক্ষার ফলে অনেক হেরফের পাওয়া গিয়েছে। সেইসঙ্গে নমুনার নির্ভুল পজিটিভ ফলাফল কোথাও ৬ শতাংশ আবার কোথাও ৭১ শতাংশ।’
[আরও পড়ুন: বড়লোকের স্যানিটাইজারের জন্য গরিবের ভাত মারার পরিকল্পনা! কেন্দ্রকে বিঁধলেন রাহুল]
যখন এত বেশি তারতম্য লক্ষ্য করা যায় তখন বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ বলে মনে করছে আইসিএমআর। গঙ্গাখেড়কর জানিয়েছেন, ‘মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে এই রোগের সৃষ্টি। সুতরাং প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও নির্ভুল হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী দুদিন আইসিএমআরের ৮টি বিশেষজ্ঞ দল র্যাপিড টেস্টের ফল যাচাই করতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। যাচাই পর্বে পরীক্ষার ফলাফলে নিশ্চিত হলে তবেই রাজ্যগুলিকে র্যাপিড টেস্টের কিট ব্যবহারের সংকেত দেওয়া হবে। তাই অন্তত দুদিন রাজ্যগুলিকে র্যাপিড টেস্টের কিট ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা পরীক্ষার কিট ত্রুটিপূর্ণ, টুইটারে ICMR-এর দিকে আঙুল তুলল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর]
The post ত্রুটিপূর্ণ র্যাপিড টেস্ট কিট, রাজ্যগুলিকে দু’দিন ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলল ICMR appeared first on Sangbad Pratidin.
