সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গরু পাচার মামলায় আরও দু’মাস তিহাড় জেলেই (Tihar Jail) থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) মেয়ে সুকন্যাকে। শুক্রবার তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ দু’মাস বাড়িয়ে দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ বেঞ্চ।
গরুপাচার মামলায় সদ্যই চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। যাতে অনুব্রত, মণীশ কোঠারি, সায়গল হোসেনের মতো নাম রয়েছে সুকন্যারও (Sukanya Mandal)। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য আরও সময় প্রয়োজন তদন্তকারী সংস্থার। এই যুক্তিতে আগেই অনুব্রত মণ্ডল ও অন্যান্যদের ১২ জূলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে আদালত। এবার সুকন্যা এবং অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির জেল হেফাজতের মেয়াদও ১২ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট।
[আরও পড়ুন: বাইকে চড়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে অঘটন, লরির ধাক্কায় মৃত্যু বিএড ছাত্রের]
গরু পাচার মামলায় আর্থিক তছরূপে অভিযুক্ত সকলেই এখন তিহাড় জেলে রয়েছেন। বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-সহ এই মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা রয়েছেন ৭ নং ব্লকে। তবে সুকন্যাকে রাখা হয়েছে মহিলা ব্লকে। আরও দু’মাস তিহাড় জেলের মহিলা ব্লকই ঠিকানা হতে চলেছে সুকন্যার। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সুকন্যার তরফে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২৬ মে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে ভাঙন, নিশীথের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ তৃণমূলের প্রধান-সহ পঞ্চায়েত সদস্যর]
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় গত ২৬ এপ্রিল সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে ইডি (ED)। তারপর দিন কয়েক তিনি ছিলেন ইডি হেফাজতে। তারপরই তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। ইডির তরফে এই মামলায় যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে গরু পাচারের বহু আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন সুকন্যা। যদিও সুকন্যার আইনজীবীরা শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন, তিনি কিছুই জানতেন না। অনুব্রত যা বলতেন, সেইমতো কাজ করতেন শুধু।