shono
Advertisement

Breaking News

কামদুনি কাণ্ড: নিঃশর্ত নয়, মুক্তিপ্রাপ্তদের উপর একাধিক শর্ত চাপাল সুপ্রিম কোর্ট

হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য এবং কামদুনির প্রতিবাদীরা।
Posted: 12:15 PM Oct 19, 2023Updated: 12:23 PM Oct 19, 2023

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কামদুনি কাণ্ডে (Kamduni Rape Case) কলকাতা হাই কোর্টর রায়ে যারা মুক্তি পেয়েছে, তাঁদের মুক্তির উপরে শর্ত আরোপ করল সুপ্রিম কোর্ট। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য এবং কামদুনির প্রতিবাদীরা। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন শর্ত আরোপ করল শীর্ষ আদালত।

Advertisement

‘সুপ্রিম’ শর্তগুলি হল

  • অভিযুক্তরা রাজারহাট পুলিশ স্টেশন এলাকার বাইরে যাবে না। রাজারহাটের ওসির কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে তাঁদের।
  • রেসপন্ডডেন্ট লিখিতভাবে আইটিনারি জমা দেবে- অনুমতি নেওয়ার সময়- কোথায় যাবে, কেন যাবে, সবিস্তারে জানাতে হবে।
  • অভিযুক্তরা রাজারহাট থানায় প্রতি মাসের প্রথম ও তৃতীয় সোমবার হাজিরা দেবে।
  • তাঁদের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে থানায়।
  • ঠিকানা বদল করলে থানায় জানাতে হবে।
  • যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করবে তা লিখিতভাবে জানাতে হবে থানায়

[আরও পড়ুন: মামলা বেশি, লোকবল কম! চাপ সামলাতে রাজ্য পুলিশের কর্মী চাইছে CBI]

২০১৩ সালে কামদুনিতে কলেজছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ১০ বছর পর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট।ডিভিশন বেঞ্চ মূল অভিযুক্ত আনসার আলি ও সইফুল আলির মৃত্যুদণ্ড রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিযেছে। আর ডিভিশন বেঞ্চেরই রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পেতে চলেছে। এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ হয়ে ওঠা টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালদের গভীর হতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। ক্ষোভ ছড়ায় কামদুনি এলাকাতেও। রাজ্য সরকারের তরফেও এই রায়ের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা জানায়। সোমবার সেইমতো স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল হয়। এদিন সেই প্রেক্ষিতেই জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। 

[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে খুন করে আগুন লাগিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! বউবাজারে গ্রেপ্তার স্বামী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement