সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে পিছোল প্রাথমিক ২০২২ সালের নিয়োগ মামলার শুনানি। ২ সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি। সোমবার বিচারপতি পি শ্রী নরসিমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বর্তমান স্ট্যাটাস কী, তা প্রাথমিক পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ আদালতের।
১১ হাজার ৭৫৮ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কথা ছিল। এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার ৫৩৩ পদে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ২ হাজার ৮০০টি শূন্যপদ রয়েছে। ওই পদে কারা যোগ্য, তা নিয়ে শুনানি ছিল সোমবার। এদিনের শুনানিতে আদালত জানতে চায়, এই মুহূর্তে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে? তা হলফনামা দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জানাতে হবে। একইসঙ্গে মামলার আবেদনকারীদের তিনটি শ্রেণিতে পৃথকীকরণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলারও শুনানি রয়েছে। দুপুর ২টো থেকে মামলার শুনানির কথা। বেনিয়মের অভিযোগে ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এতদিন যাঁরা চাকরি করেছেন, এক রায়ে তাঁদের সকলের চাকরিই ‘অবৈধ’ বলে খারিজ হয়ে যাচ্ছিল। হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীরা শীর্ষ আদালতে যান। গতবারের শুনানিতে ২৬ হাজার নিয়োগ মামলায় প্যানেল বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষার সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী তথা সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর এহেন আবেদনের জেরে পার্টির মধ্যেই বিরোধিতার মুখে পড়েন বিকাশবাবু। বঞ্চিত ও আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের অধিকাংশের বক্তব্য, বিচারপ্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে দিচ্ছেন তিনি। টানাপোড়েনের মীমাংসা হয় কিনা, সেদিকে এখন নজর সকলের।
