সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণের হিন্দি বিদ্রোহ এবার উঁকি দিল বিজেপি শাসিত মারাঠাভূমে। জাতীয় শিক্ষা নীতির নামে হিন্দি ভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘটনাকে 'ষড়যন্ত্র' বলে উল্লেখ করে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে। জানালেন, ''মহারাষ্ট্রে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ লাগু করে মারাঠি ভাষাকে এড়িয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না।"
মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের সমস্ত মারাঠি ও ইংরেজিমাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলগুলি। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই শনিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুপ্রিয়া বলেন, "মহারাষ্ট্রে সিবিএসই বোর্ডকে বাধ্যতামূলক করার পক্ষে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী যে মন্তব্য করেছিলেন আমিই প্রথম তার বিরোধিতা করেছিলাম। রাজ্য সরকারের বোর্ডকে সরিয়ে সিবিএসই বোর্ড করার প্রয়োজন কী? ভাষা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার চেয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত উন্নতির দিকে নজর দেওয়া উচিত।"
একইসঙ্গে সুলে বলেন, "জাতীয় শিক্ষা নীতি রাজ্যে লাগু করা নিয়ে এত তাড়াহুড়ো করার কোনও প্রয়োজন নেই রাজ্য সরকারের। হঠাৎ এমনটা করা হলে পড়ুয়াদের উপর প্রতিকুল প্রভাব পড়বে। রাজ্যের শিক্ষকরাও এর জন্য প্রস্তুত নন।" এরপর রাজ্য সরকারকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে সুলে বলেন, "যদি মহারাষ্ট্রে জাতীয় শিক্ষা নীতি লাগুর ফলে মারাঠি ভাষার কোনও রকম ক্ষতি হয়, তাহলে আমরা তা বরদাস্ত করব না। মারাঠি ভাষাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। এখানকার মানুষের মাতৃভাষা মারাঠি ফলে এই ভাষাকেই প্রথম ভাষা হিসেবে গণ্য করতে হবে।"
উল্লেখ্য, হিন্দি আগ্রাসন নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব তামিলনাড়ু। সে রাজ্যে একপ্রকার ভাষাযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন স্ট্যালিন। মহারাষ্ট্রে হিন্দি বিরোধ সেই পর্যায়ে না পৌঁছালেও, ইতিমধ্যেই ধিকি ধিকি বিক্ষোভের আঁচ দেখা যাচ্ছে।
