সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথা আজকের নয়। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনা আকছারই ঘটে। সে দেশের সংখ্যাগুরুদের চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হয় শিখ ধর্মাবলম্বীদের। এবার তা নিয়েই মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। জানালেন, পাকিস্তান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
[ বিরাটের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি নেতার ]
খাইবার-পাখতেুনখোয়া এলাকার হাঙ্গুতে ধরে ধরে শিখদের ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। প্রায় হাজার দশেক শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ এই এলাকায় বাস করেন। তাঁদেরই ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য জোর আয়োজন। প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। যেভাবে শিখদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে তা রদ করার আরজি জানান তিনি। সে দেশের সংবিধান অবশ্য প্রত্যেককে নিজের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে বাঁচার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে তার বিস্তর ফারাক। বরং হচ্ছে উলটোটাই। ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হচ্ছেন শিখরা। তাঁদের জোর করে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে। তার থেকেও বড় কথা, যাঁরা এ কাজ করছেন তাঁরা প্রশাসনেরই লোক। হাঙ্গুর ডেপুটি কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা জানিয়েছেন, খোদ অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারই এই ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত। তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই চলছে জোরজুলুম।
খবর প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে ভারত। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের টুইটের জবাবে বিদেশমন্ত্রী জানান, বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দরকার হলে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত অত্যাচারের কাহিনি নতুন নয়। পাক প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতেই এ কাজ চলে। যদিও সামনে থেকে পাকিস্তান তা অস্বীকার করে বারংবার। কিন্তু শিখ সম্প্রদায়ের দাখিল করা অভিযোগে স্পষ্ট, কতটা নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এ ব্যাপারেই পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান সুষমা। যদিও পাকিস্তানের তরফে জেলাশাসক জানিয়েছেন, কোথাও জোর করে কোনও ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটেনি। বরং প্রত্যেকটি জেলায় প্রত্যেক ধর্মের মানুষকে তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাস বজায় রাখার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই আশ্বাসে যে চিড়ে ভিজছে না তা অভিযোগেই স্পষ্ট। সুষমার সঙ্গে আলোচনায় বসা নিয়ে অবশ্য পাকিস্তানের তরফে এখনও সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি।
[ ‘নারীবাদী’ দ্রৌপদীই কুরুক্ষেত্রের জন্য দায়ী, রাম মাধবের মন্তব্যে বিতর্ক ]
The post পাকিস্তানের চাপে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য হচ্ছেন শিখরা, উদ্বেগে সুষমা appeared first on Sangbad Pratidin.