সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকালীন অধিবেশনেও এক দেশ এক ভোট নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে পারল না যৌথ সংসদীয় কমিটি। ওই কমিটির মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল। আগামী বাজেট অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথমদিনে রিপোর্ট পেশ করবে কমিটি।
‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলটি বর্তমানে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। ওই কমিটি দেশের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং বিশিষ্টদের মতামত নিচ্ছে। কমিটির মাথায় বিজেপি সাংসদ পি পি চৌধুরী। তিনি আগেই জানিয়েছেন, ২০৩৪ সালের আগে এক দেশ-এক ভোট নীতি কার্যকর হওয়া সম্ভব নয়। এবার সেটা হওয়া নিয়েও সংশয় তৈরি হল। কমিটির রিপোর্ট পেশ হওয়ার কথা ছিল চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
উলটে রিপোর্ট পেশের জন্য ফের চেয়ে নেওয়া হল সময়। কমিটির চেয়ারম্যান পি পি চৌধুরী বৃহস্পতিবার আগামী বাজেট অধিবেশনের শেষ সপ্তাহের প্রথমদিনে রিপোর্ট পেশ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। সেই আর্জি মঞ্জুর হয়েছে। এই নিয়ে ৩ বার কমিটির মেয়াদ বাড়ল। ফলে ২০৩৪ সালের ডেডলাইনের আগে এক দেশ-এক নির্বাচন কার্যকর করা যাবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
আগামী লোকসভা নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে। সংসদের নিম্নকক্ষে নতুন নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হবে পরবর্তী ৫ বছর অর্থাৎ ২০৩৪ সাল পর্যন্ত। ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলটি পাস হলেও ততদিন পর্যন্ত আইন কার্যকর হতে পারবে না। ২০৩৪ সালের প্রথমার্ধে একসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। পরবর্তীতে পুরসভা-পঞ্চায়েত নির্বাচনকেও এর আওতায় আনা হবে। জানা যাচ্ছে, ১২৯তম সংশোধনীর মাধ্যমে একসঙ্গে সমস্ত নির্বাচন করাতে তৎপর কেন্দ্র সরকার। আর এই সংশোধনীতেই আপত্তি বিরোধীদের। আর এই সংশোধনীতেই আপত্তি বিরোধীদের। তাঁদের অভিযোগ, এই সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। যদি, ২০৩৪ সালে ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করা যায়, সে ক্ষেত্রে ২০২৯ সালের পরবর্তীকে যে কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে, তার মেয়াদ কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
