সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ৩ দিনের ‘সমীক্ষা’র পর বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিস ছাড়লেন আয়কর বিভাগের কর্তারা। বৃহস্পতিবার রাতে আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা বিবিসির অফিস থেকে বেরিয়েছেন। সমীক্ষা শেষ হওয়ার পরই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি বিবৃতি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, এই আয়কর (Income Tax) হানার কোনও প্রভাব তাঁদের সংবাদ পরিবেশনের উপর পড়বে না। আগের মতোই নির্ভয়ে এবং নিরপেক্ষভাবে সংবাদ পরিবেশন করবে সংস্থা।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে টানা বিবিসির (BBC) দুই অফিসে সমীক্ষা চালাচ্ছিল আয়কর বিভাগ। বিবিসির অন্তত জনা দ’শেক সাংবাদিক ও আধিকারিক এই তিনদিন টানা অফিসেই ছিলেন। তাঁরা বৃহস্পতিবার রাতে সমীক্ষা শেষ হওয়ার পর বাড়ি ফিরেছেন। সূত্রের খবর, আয়কর আধিকারিকরা বিবিসির সমস্ত ডিজিটাল নথি যাচাই করে দেখেছেন। ট্যাক্স, ব্ল্যাক মানি, বেনামির মতো কিওয়ার্ড দিয়ে সমস্ত কম্পিউটার খতিয়ে দেখা হয়েছে। এমনকী সংস্থার সিনিয়র আধিকারিকদের মোবাইল ফোনও ক্লোন করে নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘জঙ্গলসুন্দরী শিল্পনগরী’তে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
বিবিসির তরফে বৃহস্পতিবার রাতে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “আয়কর আধিকারিকরা আমাদের দিল্লি এবং মুম্বইয়ের অফিস থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। আমরা আগের মতোই আয়কর বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা করব। এবং আমাদের আশা দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।” সরাসরি এই আয়কর হানা নিয়ে সরকারকে তোপ না দাগলেও, বিবিসির বিবৃতিতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম চাপের কাছে তারা মাথা নোয়াবে না। তারা বলছে, বিবিসি বিশ্বস্ত এবং স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। আমরা আমাদের সহকর্মী এবং সাংবাদিকদের পাশে আছি। আগের মতোই আমরা নির্ভয়ে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করব।”
[আরও পড়ুন: ২০ টাকায় কান পরিষ্কার করতে গিয়ে বিপত্তি! এমসিল গুঁজে উধাও যুবক]
উল্লেখ্য, বিরোধী দলগুলি দাবি করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে বিতর্কিত তথ্যচিত্র তৈরি করার জন্যই বিবিসিকে সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও আয়কর বিভাগ সূত্রের দাবি, এর মধ্যে প্রতিহিংসা বা রোষের কিছুই নেই। আয়কর বিভাগ বিবিসির অধীনের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মূল সংস্থার যোগাযোগ এবং কর ফাঁকির অভিযোগ যাচাই করার জন্যই এই সমীক্ষা চালিয়েছে।