সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারখানার ভিতরে কতজন শ্রমিক আটকে রয়েছেন? তাঁদের কি বাঁচানো সম্ভব হবে? মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাসিকে জিন্দল গোষ্ঠীর (Jindal Group) প্লাস্টিক তৈরির কারখানায় বয়লার ফেটে আগুন লাগার পরেই এই প্রশ্ন উঠছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ জন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৭০ শতাংশ পুড়ে যান তিনি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১৪ জন শ্রমিক। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
নাসিক শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে মুণ্ডেগাঁও গ্রামে রয়েছে জিন্দল গোষ্ঠীর প্লাস্টিক তৈরির এই কারখানাটি। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। কারখানা চত্বর এবং সংলগ্ন এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। আতঙ্কিত হন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। জানা গিয়েছে, ওই কারখানায় সাধারণত প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন কর্মচারী কাজ করেন। বর্ষশুরুর কারণে রবিবার তুলনায় কম লোক ছিল।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই অস্বস্তিতে মোদি সরকার, বেকারত্বের হার গড়ল নয়া নজির]
উদ্ধারকারী দলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কারখানায় বিপুল পরিমাণে দাহ্য পদার্থ রয়েছে। এছাড়া কারখানা চত্বরে বড় শুকনো ঘাস থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হচ্ছে। দমকলের অন্য এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঠিক কী কারণে বয়লার ফেটে আগুন লেগেছে, তা এখনও অবধি বোঝা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে ওই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে এখনও বেশ কিছু শ্রমিক ভিতরে আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: PNB’র ঋণ পরিশোধে এবার নিলামে নীরব মোদির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, কত দাম জানেন?]
মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “১১ জন গুরুতর আহতকে নাসিকের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এই কারখানায় স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে কাজ হত। ফলে ভেতরে লোক কম ছিল। উদ্ধারকাজে গতি আনার জন্য সরকারের তরফে যাবতীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।” মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কর্মকর্তা, জেলা কালেক্টর, পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে রয়েছেন। যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।” পরে হাসপাতালে আহতদের দেখতেও যান শিন্ডে। ইতিমধ্যে ৫ লক্ষ টাকা করে সরকারি সাহায্য দেওয়া হয়েছে মৃত শ্রমিকের পরিবারকে।