সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ সম্মেলনের (G20) মধ্যেই বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বৈঠকের আগেই কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কাশ্মীরকে (Kashmir)। একাধিক এলাকায় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে স্থানীয় প্রশাসন। বিশেষত শ্রীনগরে (Srinagar) নৌ কমান্ডো ও ন্যাশনাল সিকিয়োরিটি গার্ডের দক্ষ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সম্মেলনের কেন্দ্রের আশেপাশেও সর্বক্ষণ কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিশেষ কমান্ডো বাহিনী। প্রসঙ্গত, ২২ থেকে ২৪মে শ্রীনগরে জি-২০ দেশগুলির বৈঠক হবে।
৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরে এই প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আসর বসতে চলছে। সেখানে ব্যাপক হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা, এমনটাই দাবি করেছে স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্র। অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে যেন কোনও রকম নাশকতার ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে স্থানীয় প্রশাসন। সেই জন্য ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের একাধিক স্কুলে ছুটি দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিত-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মীদের কাজে যেতে বারণ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আপাতত জ্ঞানবাপী ‘শিবলিঙ্গে’র বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা নয়, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
কাশ্মীর পুলিশের এডিজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, “আমরা ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। ভারতীয় সেনা ও এনএসজির তরফে ড্রোন হামলার রোখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডাল লেকের নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশের পাশাপাশি থাকবে জল কমান্ডো। এছাড়াও সমগ্র কাশ্মীরের নিরাপত্তা বজায় রাখবে পুলিশ। তাদের সঙ্গে কাজ করবে ভারতীয় সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ ও এসএসবি। জি-২০ সম্মেলন যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখবে যৌথ বাহিনী।”
আগামী ২২মে থেকে শুরু হবে জি-২০ সম্মেলন। সবমিলিয়ে ১০০ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেন। তবে শোনা যাচ্ছে, চিন ও তুরস্ক এই সম্মেলনে আসবে না। অন্যদিকে, গুলমার্গে একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল অতিথিদের। কিন্তু আচমকাই তা বাতিল করে দেওয়া হয়। এর নেপথ্যে নিরাপত্তাজনিত কারণ নেই বলেই দাবি প্রশাসনের। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরের পুঞ্চ ও রাজোরিতে জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেই জন্যই জি-২০ সম্মেলনের আগে কড়া নিরাপত্তা ভূস্বর্গে।