সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাড্ডু বিতর্ক বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলেনি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসে। রিপোর্ট বলছে, দুহাত ভরে ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরকে দান করেছেন ভক্তরা। টাকা তো বটেই রাশি রাশি সোনা, রুপো জমা পড়েছে অনুদানের ভাণ্ডারে। সম্প্রতি খোলা হয়েছে তিরুপতি মন্দিরের হুন্ডি। এর পরই জানা গেল গত বছর তিরুপতি মন্দিরের আয় হয়েছে ১,৩৬৫ কোটি টাকা।
তিরুপতি মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে থাকে 'তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম' (TTD) নামের সংস্থা। মন্দিরে দেবদর্শনে আসা ভক্তরা দুহাত উজাড় করে সোনা-রুপো ও অর্থ দান করেন মন্দিরের হুন্ডিতে। সেখান থেকে সমস্ত সম্পদ বের করে নিয়ে যাওয়া হয় মন্দিরের নিজস্ব ট্রেজারিতে। প্রতি মাসেই চলে এই প্রক্রিয়া। বছর শেষে সেই সম্পদের হিসেব প্রকাশ্যে আনে টিটিডি। অনুদানের হুন্ডি খোলার পর সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে তিরুপতি মন্দিরের আয় হয়েছে ১,৩৬৫ কোটি টাকা। ২০২২ সালে এই আয় ছিল ১,২৯১ কোটি। ২০২৩ সালে সেই আয় ব্যাপকভাবে বেড়ে হয়েছিল ১,৩৯১ কোটি টাকা।
এছাড়াও মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে ২.৫৫ কোটি মানুষ মন্দির দর্শনে এসেছিলেন। ৯৯ লক্ষ মানুষ নিজের চুল দান করেছেন মন্দিরে, ৬.৩০ কোটি মানুষকে অন্নপ্রসাদ খাওয়ানো হয়েছে। এছাড়া তিরুপতি মন্দির থেকে এবছর ১২.১৪ কোটি লাড্ডু বিক্রি হয়েছে। প্রসঙ্গত, মন্দিরের এই লাড্ডুতে ব্যবহৃত ঘিতে পশুর চর্বি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল গত বছর। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর আকার নেয় যে এই মামলা গড়ায় শীর্ষ আদালতেও। মন্দিরের ঘি পরীক্ষাও করানো হয়। তবে সে বিতর্ক ভক্তদের মধ্যে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি।
তবে আয়ের পাশাপাশি ব্যয়ও কম হয়নি তিরুপতি মন্দিরের। ১ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা মানবসম্পদে অর্থাৎ মন্দিরের পুরোহিত ও কর্মীদের বেতন ও ভাতা বাবদ দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালে। ৩৫০ কোটি টাকা প্রযুক্তিগত নানা কাজের জন্য ব্যয় করা হয়েছে। রাজ্য সরকারকেও ৫০ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের পক্ষ থেকে।