নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: এবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার উপদলনেতা সাগরিকা ঘোষ বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিতে চেয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে চিঠি দিয়েছেন। সাগরিকার অভিযোগ, আমেরিকা থেকে অভিবাসী প্রত্যাবর্তন নিয়ে সংসদে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষের দাবি অনুযায়ী, সংসদে দাঁড়িয়ে বিদেশমন্ত্রী দাবি করেছিলেন আমেরিকা থেকে বেআইনি অভিবাসীদের প্রত্যাবর্তনের আগের আমেরিকার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবে ভারত। এবং ভারতীয়দের যাতে কোনওরকম দুর্ব্যবহারের স্বীকার না হতে হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকা থেকে একপ্রকার বিতড়ন করা হচ্ছে ভারতীয়দের। এমনকী তাঁদের কোমরে, হাতে শিকল পরিয়ে দেশে ফেরানো হচ্ছে। অর্থাৎ বিদেশমন্ত্রী যে সংসদে সত্যি কথা বলেননি সেটা প্রমাণিত। সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলাটা স্বাধিকার ভঙ্গেরই শামিল।
সাগরিকা ঘোষের দাবি, জয়শংকর ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদকে বিভ্রান্ত করেছেন কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করুক সংসদের প্রিভিলেজ কমিটি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এই প্রিভিলেজ ঘোষণা করেন কিনা সেটাই দেখার।
উল্লেখ্য, অভিবাসী ইস্যুতে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব তৃণমূল কংগ্রেস। খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, "যেভাবে ভারতীয়দের কোমরে শিকল পরিয়ে ভারতে ফেরানো হচ্ছে, সেটা দেশের জন্য অপমানজনক। অথচ কেন্দ্র সরকার কোনওরকম দায়িত্ব নিতে নারাজ।" বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর দলের সর্বস্তরের কর্মীদের বৈঠকের মঞ্চ থেকে মোদি সরকারকে নিশানা করে তৃণমূলনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, “এখন আমেরিকায় কী হচ্ছে? কোমরে শিকল পরিয়ে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারতীয়দের। লজ্জা করে না, শিকল পরিয়ে ভারতীয়দের অপমান করা হচ্ছে। আপনারা বলতে পারতেন না, যে আপনারা ছাড়ুন আমরা সসম্মানে ফিরিয়ে আনব। যেমনটা কলম্বিয়া করেছে। সম্মানের সঙ্গে নিয়ে আসতে পারতেন। সেই দায়িত্ব তো আপনারা নেননি।” মমতার সরব হওয়ার পরই সংসদে ইস্যুটি তুলল তৃণমূল।
