সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ব্যুরো: দুই ফুলের লড়াইয়ে ধুন্ধুমার ত্রিপুরা (Tripura)। শনিবার গভীর রাতে উত্তর পূর্বের রাজ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন দেবাংশু, সুদীপ, জয়া-সহ মোট ১৪ জন তৃণমূল নেতা। আর তার পর থেকেই যুবনেতাদের মুক্তির দাবিতে রণং দেহি মেজাজে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পুলিশের সঙ্গে বচসা থেকে থানায় ধরনা, বাকি রাখলেন না কিছুই। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এদিন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC Supremo Mamata Banerjee) ধাঁচেই প্রতিবাদ করলেন তিনি।
দলীয় কর্মীদের কখনও হেনস্তা তো কখনও মারধরের প্রতিবাদে মাঠে নেমে লড়াই করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কখনও তিনি পুলিশের চোখে চোখ রেখে অকাট্য যুক্তি দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। কখনও আবার ধরনাও দিয়েছেন। এদিন কার্যত দলনেত্রীর লড়াকু মানসিকতাকেই অনুসরণ করলেন অভিষেক। এদিন খোয়াই থানায় বসে সাফ জানিয়ে দিলেন, “ওঁদের যতক্ষণ না ছাড়ছেন, ততক্ষণ আমিও থানায় থাকব। দেখি কতক্ষণ আটকে রাখেন।” যেমন কথা, তেমন কাজ। ধৃত ১৪ নেতাকে আদালতে পেশ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও থানাতেই বসে থেকেছেন তিনি। কার্যত গত সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে খোয়াই পুলিশ ফাঁড়িতে ‘ধরনা’ দিচ্ছেন অভিষেক।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় Abhishek LIVE UPDATE: দেবাংশু, জয়া, সুদীপ-সহ ১৪ যুবনেতাকেই জামিন দিল আদালত]
ত্রিপুরায় পা রেখেই বিপ্লব দেবের সমালোচনা করেছেন অভিষেক। বলেছেন, “ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। যাঁরা এঁদের চ্যালেঞ্জ করছেন তাঁদের জেলে ঢোকানো হচ্ছে। গণতন্ত্রের কী অবস্থা দেশের মানুষ দেখছে। ত্রিপুরায় পা দিলেই জেলে ভরা হচ্ছে। কিন্তু এসব করে লাভ নেই।” তিনি আরও বলেন, “শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ফেরাব। এক ছটাক জমিও ছাড়ব না। এটা তো দেশের রাজ্য। যা করছে তাতে মনে হচ্ছে ভিসা-পাসপোর্ট লাগবে৷”
এর পরই অভিষেক আসেন খোয়াই থানায়। সেখানে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় তাঁর। চ্যালেঞ্জ করেন পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত মামলাকে। পুলিশ আধিকারিককে মনে করিয়ে দেন, “আপনি অশোক স্তম্ভ নিয়ে কথা বলছেন। পদ্মফুল নিয়ে নয়। দালালি করবেন না।” তাঁর অভিযোগ, “পুলিশ ষড়যন্ত্র করে যুবনেতাদের গ্রেপ্তার করেছে।” এর পরই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “লিখে রাখুন ১৭ মাস পর আর বিপ্লব দেবের সরকার থাকবে না। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ফিরবে।”