নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি : 'এক ব্যক্তির স্বার্থ চরিচার্থেই এক দেশ, এক ভোট', এমনই অভিযোগ তুলে বিলের বিরোধিতায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানায় নিলেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, এই বিল ভাইরাস-সম, সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী।
মঙ্গলবার দুপুরে এক দেশ, এক ভোট বিল সংসদে পেশ হতেই তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, "এই বিল সংবিধানের মূল কাঠামোর উপর আঘাত। এবং যে বিল সংবিধানের মূল কাঠামোর উপর আঘাত আনে তা ভাইরাসসম। সংবিধানে ৮৩ (৫) ধারা ও ৮৩ (২) ধারা পরস্পর বিরোধী। এই দুটো ধারাকে একত্রে মেলানো যায় না। বিধানসভায় রাজ্যের জনতার রায়ে সরকার গঠিত হয়। লোকসভাতেও বিষয়টি একই। ফলে ৮৩ (৩) ধারা অনুযায়ী মেয়াদ শেষের আগে কোনও সরকারকে ভেঙে দেওয়া যায় না। এটা বেআইনি। লোকসভা ও বিধানসভার স্বতন্ত্র, এক দেশ এক ভোটের নামে তা ভেঙে দেওয়ার এই পরিকল্পনা ঠিক নয়। ৮২ (৫) ধারা অনুযায়ী নির্বাচন চলাকালীন গোটা দেশের শাসনভার চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। যা বিপদের কারণ হতে পারে। যেভাবে চলছে তাতে সমস্যা কোথায়? কেন জোর করে এমন আইন আনা হচ্ছে?"
এর পরই সুর চড়িয়ে কল্যাণ বলেন, "এই আইন নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংশোধনী নয়। এটা আসলে একজন ব্যক্তির স্বার্থ চরিতার্থ করার পন্থা। তাঁর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই আনা হচ্ছে এই ভাইরাস আইন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এর আগে এই সরকার একাধিক এমন বিল এনেছে যা শীর্ষ আদালতে আটকে দেওয়া হয়েছে কারণ বিলগুলি সংবিধানের মূল কাঠামোয় আঘাত হেনেছে। এই বিলও সংবিধানের মূল কাঠামোয় আঘাত হানছে।"