নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লিতে মোদি-হাসিনা বৈঠকে ফরাক্কা চুক্তি নিয়ে আলোচনায় প্রবল আপত্তি তৃণমূল কংগ্রেসের। এরাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, এই ধরনের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলা উচিত কেন্দ্রের। কিন্তু কেন্দ্র সরকার বাংলাকে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে ফরাক্কা চুক্তি নবীকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে গঙ্গার জল বণ্টন চুক্তি নবীকরণে যৌথ কারিগরি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনকী তিস্তা নদীর ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ভারতের পক্ষ থেকে আগ্রহ দেখানো হয় বলে খবর। তাতেই আপত্তি তৃণমূলের। এরাজ্যের শাসকদলের একটি সূত্র বলছে, "রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে এই ধরনের চুক্তি এগোতে পারে না। আমরাও এই চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।"
[আরও পড়ুন: NEET কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত, আজ পরীক্ষা গ্রেস মার্কস পাওয়া দেড় হাজার পরীক্ষার্থীর]
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি হয় ভারতের। পরবর্তী কালে দেখা গিয়েছে, গঙ্গার ওই চুক্তিতে আসলে বাংলার সমুহ ক্ষতি হয়েছে। একাধিক জেলা বছর বছর প্লাবিত হচ্ছে। চুক্তির পর তিন দশকে রাজ্যের বহু জমি গিয়েছে পদ্মা এবং গঙ্গার গ্রাসে। রাজ্যের অভিযোগ, বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি হলেও সেসময় যে ভাবে নিয়মিত গঙ্গায় ড্রেজিং করার কথা ছিল সেটা করা হয় না। চুক্তির টাকাও দেওয়া হয়নি রাজ্যকে।
[আরও পড়ুন: ‘মমতার পালটা মুখই বাংলায় নেই’, আরএসএস মুখপত্রে বঙ্গ বিজেপির সমালোচনা]
ফরাক্কা চুক্তির (Farakka Treaty) নবীকরণ হওয়ার কথা ২০২৬ সালে। অর্থাৎ হাতে আর দুবছর। বাংলাদেশ চাইছে দ্রুত এই চুক্তির নবীকরণ করতে। কিন্তু রাজ্যে সরকারের তাতে আপত্তি আছে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একাধিকবার এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। সরাসরি চুক্তির বিরোধিতা না করলেও কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন। এর আগে ২০১৭ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও এ নিয়ে আপত্তি জানান। তৃণমূল বলছে, "আমরা আগের চুক্তির টাকা পাইনি। গঙ্গার ড্রেজিং বন্ধ করে দেওয়ায় বছর বছর বন্যা হচ্ছে। ভুমিক্ষয় হচ্ছে।" এর আগেই এই ইস্যু বহুবার তোলা হয়েছে।