নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পহেলগাঁও হামলা নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। বৈঠকে সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই বৈঠকে রয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হল কেন সংসদীয় দলগুলিকেই ডাকা হচ্ছে। কেন রাজনৈতিক দলগুলির সভাপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।
এদিন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেন, ''কেন সর্বদলীয় সভা না ডেকে সংসদীয় সর্বদল বৈঠক ডাকা হল? বিষয়টি যেখানে এত গুরুতর উদ্বেগের, তখন সকল দলের সভাপতিদের বৈঠকে ডাকা উচিত ছিল।'' তাঁর দাবি, যদি প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতেন, সেখানে সমস্ত দলের প্রধানরাই যোগ দিতে পারতেন। ফলে থাকতে পারতেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই সঙ্গে পহেলগাঁও হামলার দায় সরকারও অস্বীকারও করতে পারে না বলেই দাবি তাঁর।
পাশাপাশি সূত্রের খবর, তৃণমূল শিবিরে আরও একটি বিষয় নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। তাদের প্রশ্ন, কেন সংসদের সমস্ত কমিটি বৈঠকগুলি জম্মু ও কাশ্মীরেই ডাকা হচ্ছে। যেখানে সরকার সেখানকার নিরাপত্তা ঠিক রাখতে পারছে না, সেখানে ওখানেই বৈঠক ডাকার সারবত্তা কী, জানতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এখনও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। পুলওয়ামার পর এটাই ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। অন্তত মৃতের সংখ্যার নিরিখে। মৃতদের মধ্যে দু’জন বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর ‘কূটনৈতিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করেছে নয়াদিল্লি। বাতিল করা হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। ভারত এবং পাকিস্তান-দুই দেশের হাই কমিশন থেকেই সরিয়ে নেওয়া হবে সামরিক পরামর্শদাতাদের। এই পরিস্থিতিতে চড়ছে পারদ।
