নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সংসদে ভূতুড়ে ভোটার কাণ্ডে আলোচনায় নারাজ কেন্দ্র। প্রতিবাদে তৃণমূলের নেতৃত্ব ওয়াকআউট বিরোধীদের। তৃণমূলের সাফ কথা, একই সঙ্গে ভুয়ো ভোটার কার্ডের উপস্থিতি এবং সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সংসদে এ নিয়ে আলোচনার অনুমতি দিতেই হবে।

এপিক বা সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে সরব তৃণমূল-সহ বিরোধী শিবির। অথচ সরকার আলোচনায় নারাজ। বারবার নোটিস দিয়েও ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়নি কেন্দ্র। গত সপ্তাহে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, চলতি সপ্তাহে স্বল্প সময়ের জন্য এই ইস্যুতে আলোচনার অনুমতি দিতেও পারেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সদিচ্ছা তাঁর তরফে দেখানো হয়নি। বৃহস্পতিবারও এ নিয়ে আলোচনার দাবিতে রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, দোলা সেন, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাকেত গোখলে। সেগুলি গ্রহণ করেননি চেয়ারম্যান।
বাধ্য হয়ে এদিন রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, "ভুয়ো ভোটার কার্ড যে রয়েছে, সেটা প্রমাণিত। ভুয়ো এপিকও থাকবে, আবার সুষ্ঠু নির্বাচনও হবে, দু'টো একসঙ্গে হতে পারে না। বারবার বিভিন্ন নিয়মে নোটিস দেওয়া হয়েছে। আমরা লাগাতার আলোচনার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের একটাই দাবি, সরকার আলোচনা করুক। কিন্তু সরকার সেটা চায় না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ওয়াকআউট করেছি।"
সম্প্রতি ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারের ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। লোকসভার পর এই ৩ রাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। বিরোধীদের অভিযোগ, তিন রাজ্যেই সুপরিকল্পিতভাবে ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হয়েছে। বিজেপির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও নিশানা করেছে বিরোধী শিবির। এরাজ্যেও একই রকম পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ নিয়ে সংসদে লাগাতার আলোচনার দাবি করে চলেছে তৃণমূল। কিন্তু সরকার তাতে সাড়া দিচ্ছে না। সূত্রের দাবি, আগামী দিনে এই নিয়ে সুর আরও চড়াতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল।