সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে সিদ্দারামইয়ার (Siddaramaiah) শপথের মঞ্চ যেন চাঁদের হাট। উপস্থিত বিরোধী শিবিরের ৬ মুখ্যমন্ত্রী। হাজির একাধিক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তথা বিরোধী শিবিরের একাধিক দলের সুপ্রিমোরা। নিজে উপস্থিত না থাকলেও প্রতিনিধি পাঠিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
২০১৮ সালে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন এইচ ডি কুমারস্বামী। মঞ্চে হাজির দেশের তাবড় বিরোধী দলের নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মায়াবতী, কে ছিলেন না। উদ্দেশ্য ছিল ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বিরোধীকে একত্রিত করা। সে স্বপ্ন সফল হয়নি। কাট টু ২০২৩। আবারও কর্ণাটক (Karnataka)। আবারও এক বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীর শপথ। আবারও বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা। এবারে অবশ্য হেভিওয়েটের সংখ্যাটা কম। তবে, ২০২৪-এর সম্ভাব্য বিরোধী জোটের রূপরেখা অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গেল শনিবারের কান্তিরাভা থেকে।
[আরও পড়ুন: ফের কর্ণাটকের কুরসিতে সিদ্দারামাইয়া, ডেপুটি শিবকুমার, বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে নিলেন শপথ]
এদিন সিদ্দারামাইয়ার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৬ বিরোধী শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজস্থানের অশোক গেহলট, হিমাচলের সুখবিন্দর সিং সুখু, ছত্তিশগড়ের ভুপেশ বাঘেল, তামিলনাড়ুর এম কে স্ট্যালিন, বিহারের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) এবং ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনও উপস্থিত ছিলেন। এরা সকলেই হয় কংগ্রেসের নাহয় কংগ্রেস জোটের। এরা ছাড়াও এনসিপির শরদ পওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ আবদুল্লাহ, পিডিপির (PDP) মেহেবুবা মুফতি, আরজেডির তেজস্বী যাদব, বামেদের তরফে সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি এবং সিপিআইয়ের ডি রাজা (D Raja) উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা কমল হাসানও। এছাড়া রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা তো ছিলেনই।
[আরও পড়ুন: দু’হাজারের নোট ‘বন্দি’ ঘোষণার পরই রাজস্থানের সরকারি দপ্তর থেকে উদ্ধার আড়াই কোটি!]
কংগ্রেসের (Congress) তরফে সরাসরি বিজেপির বিরোধী মতাদর্শে বিশ্বাসী সব বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, শুধু আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির কেসিআর বাদে। কারণ এই দুই দলের সঙ্গেই একাধিক রাজ্যে সরাসরি লড়াই রয়েছে হাত শিবিরের। মায়াবতীর অবস্থান নিয়ে ধন্দ রয়েছে, তাই তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হলেও মমতা নিজে না গিয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। অখিলেশ যাদবকেও গরহাজির ছিলেন। আসলে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্দার শপথের মঞ্চেই স্পষ্ট করে নিতে চাইছিলেন, ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে কাদের পাশে পাওয়া যাবে। সেটা এদিন অনেকটাই স্পষ্ট হল।