সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণের হাত থেকে আর যেন নিস্তার নেই দিল্লির। দিওয়ালির সময় থেকে সেই যে বাতাসে দূষিত কণার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে পরিস্থিতি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। সিপিসিবির তথ্য অনুযায়ী, রবিবাসরীয় সকাল ৭টায় দিল্লির একিউআই ৪৬১। শনিবার যা ছিল ৪৩১। অর্থাৎ কালকের থেকে আজকের পরিস্থিতি আরও শোচনীয়।
এদিন সকাল থেকেই দিল্লির মুখ ঢেকে গিয়েছে কুয়াশার গাঢ় পর্দায়। কোনও কোনও অঞ্চলে দৃশ্যমানতা পৌঁছেছে শূন্যে। গড় একিউআই তথা দূষণের মাত্রা সাড়ে চারশোর সামান্য বেশি থাকলেও বহু অঞ্চলই পাঁচশো প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে। এর মধ্যে রয়েছে রোহিণী (৪৯৯), বাওয়ানা (৪৯৮), বিবেক বিহার (৪৯৫), অশোক বিহার (৪৯৩), ওয়াজিরপুর (৪৯২), নারেলা (৪৯২) ও আনন্দ বিহার (৪৯১)। শহরের অন্যপ্রান্তের অঞ্চলগুলিতেও একই ছবি। আইটিও (৪৮৫), মুন্ডকা (৪৮৬), পাঞ্জাবি বাগ (৪৭৮), নেহরু নগর (৪৭৬), চাঁদনি চক (৪৭০), ওখলা (৪৭০)। তুলনামূলক 'সবুজ পকেট' হিসেবে চিহ্নিত লোধি রোড (৪০০) বা নজফগড়ও (৪০৪) কিন্তু দূষণের কবল থেকে রেহাই পায়নি। খুব শোচনীয় অবস্থায় এনসিআরের বহু অঞ্চল। যার মধ্যে রয়েছে নয়ডা (৪৭০), গাজিয়াবাদ (৪৬০), গুরুগ্রাম (৩৪৮)। তবে অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থা ফরিদাবাদে। তবে সেখানেও মাত্রা ২২০, অর্থাৎ 'খারাপ' পর্যায়েই।
প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। সম্প্রতি তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বেড়েছে দূষণ। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও বিজেপি নেত্রী কিরণ বেদি কয়েকদিন আগেই দাবি করেন, রাজধানীর বর্তমান পরিস্থিতি কোভিডের সঙ্গে তুলনীয়! এহেন পরিস্থিতিতে দূষণ যে শিশু ও বর্ষীয়ানদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির উপসর্গ রয়েছে। জল স্প্রে করে দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি আর হচ্ছে না।
