ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল নেতারা। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এক সপ্তাহের মধ্যে ফের উত্তর-পূর্বের রাজ্যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন-ও। অভিষেকের ত্রিপুরা সফরের লাইভ আপডেট (Live Update):
বিকেল ৬.০৫: যুবনেতারা জামিনে মুক্তি পেতেই বিপ্লব দেবের সরকারকে তুলোধনা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ত্রিপুরাকে একশো বছর পিছিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাঁর অভিযোগ, “বিজেপি কিছু করলে কেউ দেখতে পাচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন, “যদি ওরা ভেবে থাকে কয়েকটা গাড়ি থেকে তৃণমূলকে থামিয়ে দেবে, তাহলে ওরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছে।” কড়া ভাষায় বিপ্লব দেবকে আক্রমণ করলেন তিনি। বললেন, বিপ্লব দেবের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, “যত আন্দোলন প্রয়োজন তৃণমূল তা করবে। তবে বিজেপিকে উপড়ে ফেলবই।”
বিকেল ৫.১২: ত্রিপুরায় বিজেপির আচরণের নিন্দা করল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। পালটা তৃণমূলের আচরণের নিন্দা করলেন ত্রিপুরার বিজেপির মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “এটা নাটক হচ্ছে। যার ক্রিপ্ট লেখা হয়েছে কলকাতায় বসে। প্লট লিখেছে সিপিএম। আর তা বাস্তবায়ন করছে তৃণমূল।” পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার নিন্দা করে বিজেপি নেতা আরও বলেন, যাঁরা পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুক পুলিশ।
বিকেল ৫.০০: আদালত থেকে বেরলেই ফের হামলার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “খবর পাচ্ছি রাস্তায় রাস্তায় ফের বিজেপি লোক জড়ো করছে। যাতে এখান থেকে বেরলেই ফের ঝামেলা করতে পারে। পুলিশকে এ নিয়ে সতর্ক করেছি।”
বিকেল ৪.৪৮: খোয়াই আদালতে জামিন পেলেন দেবাংশু, জয়া, সুদীপ-সহ ধৃত ১৪ তৃণমূল নেতা। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন তাঁরা। অতিরিক্ত মামলা উড়িয়ে দেন বিচারক। তেলিয়ামু়া থানার মূল মামলায় জামিন পেয়েছেন তাঁরা। আম্বাসা থানার অতিরিক্ত মামলাকে গুরুত্ব দিতে চাননি বিচারপতি। রায়দান হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পরই মুক্তি পাবেন তাঁরা। এদিকে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত খোয়াই থানার অফিসার ইনচার্জের ঘরেই বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি মুহূর্তে মামলার খবর রেখেছেন তিনি।
বেলা ৪.২৩: তৃণমূলের পক্ষে কলকাতা থেকে মোট আটজন আইনজীবী এবং ত্রিপুরার ৪ জন আইনজীবী আদালতে লড়াই করছেন।
বেলা ৪.০৫: তৃণমূলের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর গাড়িতেও হামলা। আদালতে যাওয়ার পথে হামলা হয় বলে অভিযোগ। মোট ৬টি গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে।
বেলা ৩.৩৮: উত্তপ্ত সিজেএম আদালত চত্বর। রয়েছেন দুই দলের কর্মীরাই। পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল, দাবি বিজেপি কর্মীদের। পালটা গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ তৃণমূলের।
বেলা ৩.০৫: আদালতে যাওয়ার পথে ফের বিজেপির হাতে আক্রান্ত তৃণমূল। আক্রান্ত ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক। কিছুদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি।
বেলা ২.৪৫: ত্রিপুরায় দোলা সেনের গাড়ি ভাঙচুর। ইতিমধ্যে ১৪ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তিন থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বেলা ২.৪৩: ত্রিপুরা-কাণ্ডের জের। সোমবার দিল্লিতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবেন তৃণমূলের রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদেরা। এদিন সে কথা জানালেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেলা ২.৩৩: ধৃত ১৪ জনকে আদালতে নিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা পুলিশ। যদিও তৃণমূলের রাজ্যস্তরের যুবনেত্রী জয়া দত্ত বলেন, “আমাদের কোনও দোষ নেই। তাও গ্রেপ্তার করা হল।” তাঁদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় থানার বাইরে থাকা বিজেপি কর্মীরা ‘জয় ত্রিপুরা’ স্লোগান দেন। এদিকে এখনও থানাতে রয়েছেন অভিষেক।
বেলা ২.২৩: বাংলাও পৌঁছে গেল ত্রিপুরায় তৃণমূলের আন্দোলনের ঝাঁজ। ক্যানিংয়ে পুড়ল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কুশপুতুল।
বেলা ২.১৮: পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যুবনেতাদের গ্রেপ্তারির অভিযোগ তৃণমূলের। তাঁদের দাবি, দুপুরের ঘটনার পর প্রথমে কাল রাতে ন্যাশনাল হাইওয়ে থেকে তৃণমূলের গাড়ি পাহাড়ি রাস্তায় নিয়ে যাওয়া। যুক্তি ন্যাশনাল হাইওয়েতে হামলা হতে পারে। কিন্তু হামলা পাহাড়ি রাস্তাতে হয়। সেই ভয় দেখিয়ে নিরাপত্তার যুক্তিতে থানায় নিয়ে আসে সবাইকে। সকালে মহামারী আইন ভাঙার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। একটু পরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আইনের ধারা নিয়ে কথা হবে। কিন্তু তার আগেই সিআরপিএফ ডাকা হল থানায়। অভিযোগ তৃণমূলের
বেলা ২.১৪: থানার উত্তেজনা সামাল দিতে নামল ব়্যাফ। থানার অফিসারদের নামে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনা দেওয়া হবে। জানাল তৃণমূল প্রতিনিধি দল।
বেলা ২.০০: পুলিশ ইচ্ছে করে ফাঁদে ফেলে যুব নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে অভিযোগ কুণাল ঘোষের। থানা থেকে হুঙ্কার অভিষেকেরও। বললেন, “লিখে রাখুন ১৭ মাস পর আর বিপ্লব দেবের সরকার আর থাকবে না। বিজেপির ইশারাতে চলছে পুলিশ।”
বেলা ১.৩৪: দেবাংশু-সুদীপ-জয়াদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা। জানাল পুলিশ।
বেলা ১.২০: থানার ভিতরে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে চলছে বচসা। বচসা চলাকালীন জ্ঞান হারান সুদীপ রাহা।
বেলা ১২.৪০: খোয়াই থানার বাইরে বিজেপি কর্মীদের জমায়েত নিয়ে সরব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘জমায়েত করা গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের না গ্রেপ্তার করা পর্যন্ত থানা ছাড়ব না।’ হুঁশিয়ারি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। কেন এদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করছে না পুলিশ, জানতে চাইলেন তিনি। পাশাপাশি, কাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল যুবনেতাদের গ্রেপ্তার, তাও জানতে চান তিনি।
বেলা ১২.৩০: থানায় পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলছেন ধৃত তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। সঙ্গে রয়েছেন আইনজীবীরা। থানার বাইরে অভিষেককে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান বিজেপি কর্মীদের। উপস্থিত রয়েছে তৃণমূল কর্মীরাও। তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে।
বেলা ১২.২৭: বিকেল ৪টেয় সাংবাদিক বৈঠক করবেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। অথচ সেই অনুষ্ঠানের জন্য মাইক দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূল প্রতিনিধি দলের অভিযোগ, হোটেলে মাইক দেওয়া হচ্ছে না। এসব বিজেপির ষড়যন্ত্র।
বেলা ১২.১৫: খোয়াই পৌঁছে গিয়েছেন কুণাল ঘোষস ব্রাত্য বসুরা। ধৃত তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধি দল। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ১৪ তৃণমূল নেতাদের নামে আমবাসা থানায় নতুন আরেকটি মামলা করা হয়েছে বলে খবর। সেই মামলায় গ্রেপ্তারি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে থানার বাইরে প্রচুর জমায়েত হয়েছে। সবমিলিয়ে উত্তপ্ত ত্রিপুরা।
বেলা ১২.১৪: ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা সাজানো ঘটনা। দাবি বাংলা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
সকাল ১১.৪০: খোয়াইয়ের উদ্দেশে রওনা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকাল ১১.০৫: ত্রিপুরায় পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সে রাজ্যের সরকারের তুমুল সমালোচনা করলেন তিনি। তাঁর কথায়, “ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। যাঁরা এঁদের চ্যালেঞ্জ করছে তাদের জেলে ঢোকানো হচ্ছে। গণতন্ত্রের কী অবস্থা দেশের মানুষ দেখছে। ত্রিপুরায় পা দিলেই জেলে ভরা হচ্ছে। কিন্তু এসব করে লাভ নেই।” তিনি আরও বলেন, “শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ফেরাব। এক ছটাক জমিও ছাড়ব না। এটা তো দেশের রাজ্য। যা করছে তাতে মনে হচ্ছে ভিসা-পাসপোর্ট লাগবে৷”
সকাল ১০.৪০: তৃণমূলের অভিযোগ, রাতে সকলকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে থানায় নিয়ে গিয়ে সকালে গ্রেপ্তার করা হল।
সকাল ১০.২০: ত্রিপুরা নিয়ে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ, দোলা সেন ও ব্রাত্য বসু। প্রত্যেকে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। কুনাল ঘোষ বলেন, “ত্রিপুরার পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমাদের সহকর্মীরা কাল সারারাত অবরুদ্ধ ছিল। গুন্ডারা তাদের ফেরার রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। আমাদের একাধিক পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে, ফ্লেক্স ব্যানার ছেড়া হয়েছে। আমরা যে হোটেলগুলোতে থাকি সেখানে গিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে যাতে আমাদেরকে হোটেল না দেওয়া হয়। বেশি রাতে প্রত্যেকটি ট্রাভেল এজেন্সি হুমকি দেয়া হয়েছে যাতে গাড়ি না দেয়া হয়। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, জঙ্গল রাজ চলছে।” দোলা সেনের কথায়, ” আমি যাচ্ছি আমাকেও এরেস্ট করতে পারে। গণতান্ত্রিক দেশ সংবিধান ও মানুষ শেষ কথা বলে। আমাদের কর্মীরা মার খেয়েছে আগে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, পরে কর্মসূচি।” ব্রাত্য বসুর কথায়, “ত্রিপুরার মানুষ দেখছেন, বিরোধীদের কীভাবে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। আজ আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন, তেমন হলে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যাবেন।”
সকাল ১০.০০: শনি-রবিবার ত্রিপুরায় কারফিউ চলে। ফলে আজ কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত নেই। অভিষেক গ্রেপ্তার হওয়া প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করে বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করবেন।
সকাল ৯.২২: দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি।
সকাল ৮.০০: ত্রিপুরা পৌঁছে গেলেন কুণাল ঘোষ. ব্রাত্য বসু এবং দোলা সেন।
সকাল ৭.০০: রাতেই ত্রিপুরায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে বাংলা থেকে রওনা দিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং দোলা সেন।