সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবরীমালা ইস্যুতে আরও কোণঠাসা কেরল সরকার। আয়াপ্পার উগ্র ভক্তদের কাছে এক প্রকার আত্মসমর্পণ করেছে পুলিশ ও প্রশাসন। তীব্র বিক্ষোভের জেরে কোচি বিমানবন্দরে কার্যত বন্দি মহিলা সমাজকর্মী ত্রুপ্তি দেশাই।
শুক্রবার সকাল ৪.৩০ নাগাদ কোচি বিমানবন্দরে নামেন ‘ভুমাতা ব্রিগেড’-এর প্রতিষ্ঠাতা ত্রুপ্তি ও তাঁর ছয় সঙ্গী। এদিন সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করার চেষ্টা করবেন তাঁরা। তবে এই খবর চাউর হতেই ছড়ায় প্রবল উত্তেজনা। বিমানবন্দরের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে হাজার হাজার ভক্তরা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, ট্যাক্সিচালকরা পর্যন্ত ওই সমাজকর্মীদের পরিষেবা দিতে নারাজ। সংবাদমাধ্যমের সামনে ত্রুপ্তি বলেন, “আমরা মন্দিরে প্রবেশ করবই। তার আগে কেরল ছেড়ে যাব না।” মহিলা সমাজকর্মীর এহেন বয়ানে কার্যত অসহায় কেরল সরকার।সুপ্রিম নির্দেশের পরও মিহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ সুনিশ্চিত করতে পারেনি বিজয়ন প্রশাসন। সমানে চলছে উন্মত্ত ভক্তদের তাণ্ডব। জানা গিয়েছে, এদিন পাথানমঠিত্তা এলাকার হোটেলগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে একটি দল। তাদের হুমকি, ‘ওই মহিলারা আয়াপ্পাকে অপমান করেছে। তাদের জায়গা দিলে ফল ভাল হবে না।’ অভিযোগ, সব দেখেও নিশ্চুপ পুলিশ।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে একমাস ব্যাপী বিশেষ পুজো শুরু হচ্ছে আয়াপ্পার মন্দিরে। এই অনুষ্ঠান চলাকালীন মন্দিরে প্রবেশের জন্য ইতিমধ্যেই কেরল পুলিশের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন পাঁচশোর বেশি মহিলা। এদের মধ্যে সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল নাম আন্দোলনের নেত্রী, তথা সমাজকর্মী ত্রুপ্তি দেশাই। কিন্তু এই মহিলারা কি আদৌ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন মহিলা আয়াপ্পার মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাতে কেউ সফল হননি। সমস্যা মেটাতে বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বৈঠকে হাজির ছিল রাজ্যের প্রধান দুই বিরোধী দল কংগ্রেস এবং বিজেপি। কিন্তু ঘণ্টা দুই আলোচনার পর কোনও সমাধানসূত্র না বেরনোয় সভাকক্ষ ত্যাগ করে কংগ্রেস-বিজেপি দুই দলই।
[সর্বদল বৈঠকে মিলল না সমাধানসূত্র, সবরীমালা ইস্যুতে দোটানায় কেরল সরকার]
The post সবরীমালা ইস্যুতে উত্তাল কেরল, বিমানবন্দরে মহিলা সমাজকর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ appeared first on Sangbad Pratidin.