shono
Advertisement

Breaking News

কুপওয়ারায় জঙ্গি হামলায় শহিদ দুই জওয়ান

প্রহরারত ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালাল পাক জঙ্গিদের শার্পশুটাররা।
Posted: 05:46 PM Jul 12, 2017Updated: 12:18 PM Jul 12, 2017

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা জিইয়ে রাখতে কোনও কসুর করছে না পাকিস্তান। বুধবার পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় শহিদ হলেন দুই সেনা জওয়ান। সূত্রের খবর, কেরন সেক্টরে পাক জঙ্গিদের শার্পশুটাররা প্রহরারত ভারতীয় জওয়ানদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়।

Advertisement

এখনও পর্যন্ত ওই হামলায় দুই জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। পাক সেনার ‘ব্যাট’ সদস্যরা পুঞ্চ, কুপওয়ারাতে ওঁত পেতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাক জঙ্গিদের টার্গেট মূলত তিনটি। প্রথমত, সীমান্তে গোলাগুলি জারি রেখে ভারতের অন্দরে অশান্তি জিইয়ে রাখা। দ্বিতীয়ত, সীমান্তে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত রেখে সেই সুযোগে ভারতে পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করা। তৃতীয়ত, এই ধরনের হামলার পরই ভারত প্রত্যুত্তর দেবে, সে কথা আগেই আঁচ করতে পেরেছে পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তান নিজেদের আক্রান্ত বলে ‘নাটক’ জারি রাখতে পারবে।

[শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাণিজগতের ষষ্ঠ ধ্বংসলীলা, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা]

বুদগামে বুধবার রাতভর চলা সেনা—জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হয় তিন জঙ্গি। তাদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বুদগামের মাগাম অঞ্চলের রাদবাঘে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর ছিল সেনাবাহিনীর কাছে। তাই  মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে অভিযান চালায় সিআরপিএফ, সেনার রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যুগ্মবাহিনী। খোঁজ মেলে একটি জঙ্গিডেরা। মঙ্গলবার রাত গড়িয়ে বুধবার ভোর পর্যন্ত চলে ওই সংঘর্ষ। রাতভর চলা সংঘর্ষে নিহত হয় তিন জঙ্গি। সোমবার অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের উপর হওয়া হামলার ঘটনার পর এটিই সম্ভাব্য প্রথম সেনা—জঙ্গি সংঘর্ষ। জঙ্গিদের দেহ ওই ডেরাতেই পড়েছিল। শনাক্ত করা হয়েছে তাদের তিনজনকে। তারা হল জাভেদ আহমেদ শেখ, সাজিদ আহমেদ গিলকার ও আকিব গুল। তিনজনই হিজবুল মুজাহিদিন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা হয়েছে অমরনাথ যাত্রার পথও।

তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে হামলার দু’দিন পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে আসা একটি অডিও টেপ। সেখানে মাসুদ নরেন্দ্র মোদি, যোগী আদিত্যনাথ ও অন্যান্য হিন্দু ‘হেভিওয়েট’দের আক্রমণ করেছে। সরব হয়েছে কাশ্মীর ও কাশ্মীরিদের বর্তমান অবস্থা নিয়েও। ইসলাম ও মুসলিমদের অস্তিত্বরক্ষার সাবধানবাণীই বারবার উচ্চারিত হয়েছে ২০০১ সংসদহানার মূলচক্রীর গলায়। খুব শীঘ্রই ভারতে বড়সড় হামলা ঘটানোর বার্তাও দিয়েছে সে। পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা মাসুদই সোমবারের ঘটনার মাথা কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও ঘটনায় পাকিস্তানের হাত নিয়ে নিশ্চিত ভারতীয় কূটনীতিক বিশেষজ্ঞ ও গোয়েন্দারা।

[‘ভারত মাতা কি জয়’ না বলায় ইমামকে হেনস্তা বজরং দলের সদস্যদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement