সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানহাইয়া লালের হত্যাকাণ্ডের পরে চার অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। এদিন অভিযুক্তদের জয়পুরের (Jaipur) বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালতে পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সময় আদালত চত্বরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের উপরে হামলে চালাল উপস্থিত উত্তেজিত জনতা। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সংস্থার ঘেরাটোপ ডিঙিয়ে চার অভিযুক্তকে মারধরের চেষ্টা হয়। এমনকী অভিযুক্তদের জামা ছিঁড়ে নেওয়া হয়।
রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা পেশায় দরজি কানহাইয়া লাল (Kanhaiya Lal) সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) সমর্থন করে পোস্ট করেছিলেন। এরপর থেকেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এই বিষয়ে পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর গত মঙ্গলবার তাঁর দোকানে ঢুকে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার ভিডিও করে দুষ্কৃতীরা। অন্য একটি ভিডিওতে তারা নূপুর শর্মা ও নরেন্দ্র মোদিকে খুনের হুমকি দেয়। ওই দিনই দুই অভিযুক্ত রিয়াজ আখতার ও গোস মহম্মদকে গ্রেপ্তার করেছিল রাজস্থান পুলিশ। পরে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয় খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে।
[আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান নাগরিকদের ভাতা বন্ধ, অথচ সাংসদদের জন্য খরচ কোটি টাকা! প্রশ্নের মুখে রেলের ‘দ্বিচারিতা’]
এদিন চার অভিযুক্তকে জয়পুরের বিশেষ আদালতে তোলে এনআইএ। নিরাপত্তার স্বার্থে আদালত চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এরপরেও অভিযুক্তদের ভ্যানে তোলার সময় তাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে উত্তেজতা জনতা। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ঘেরাটোপ ডিঙিয়ে মারধরের চেষ্টা চলে। অভিযুক্তদের জামা ছিঁড়ে নেওয়া হয়। এদিকে এদিন বিশেষ আদালত ১২ জুলাই অবধি এনআইএ হেফাজত দিয়েছে অভিযুক্তদের।
উল্লেখ্য, উদয়পুরে কানহাইয়া লালের হত্যার পর একই ধরনের ঘটনা ঘটে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। আরএসএস (RSS) মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’ (Organizer Weekly) দাবি করে, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) সমর্থন করে পোস্ট করায় মহারাষ্ট্রের এক ওষুধের দোকানের মালিকের মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়। সেই ঘটনা গত ২১ জুনের। এবার ওই ঘটনাতেও এনআইএ-কে (NIA) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: রথযাত্রার পরদিনই ‘অঘটন’! পুরীর গুণ্ডিচা মন্দিরে দুষ্কৃতী হামলা, ভাঙচুর ২০টি উনুন]
এতদিন উমেশকে হত্যার তদন্ত করছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। এদিন অমিত শাহর (Amith Shah) মন্ত্রক টুইট করে, “গত ২১ জুলাই মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটে। উমেশ কোলের হত্যার তদন্তের দায়িত্ব এনআইয়ের হাতে তুলে দেবে মহারাষ্ট্র পুলিশ।” নিজেদের বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানায়, এই হত্যার পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। কোনও সংগঠন এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত কিনা, আন্তর্জতিক যোগসূত্র আছে কিনা, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে।