সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের হিজাব (Hijab) পরা নিয়ে তৈরি হওয়া যাবতীয় বিতর্কে জল ঢেলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnaraka High Court)। শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে সমস্ত আবেদন জমা পড়েছিল, মঙ্গলবার তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ উদুপি কলেজের পড়ুয়ারা। শীর্ষ আদালতে কর্মরত এক আইনজীবী আনাস তনবীর টুইট করে একথা জানিয়েছেন।
এদিন সকালে হাই কোর্ট রায় দিতেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পড়ুয়ারা। সেকথা জানিয়ে তিনি টুইটারে পোস্ট করে জানিয়ে দেন তাঁর মক্কেলরা হিজাব প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তিনি আরও লেখেন, ”এই মেয়েরা আদালত ও সংবিধানের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে।”
[আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৪৫ জন বন্দি মুক্তি, মানবিক সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের]
এদিন কর্ণাটক হাই কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ড্রেস কোড থাকতেই পারে। হাই কোর্টের প্রধান বিচারক ঋতুরাজ অবস্তি জানিয়েছেন, ”আমাদের মতে, কোনও মুসলিম মহিলার হিজাব পরা ইসলামের বাধ্যতামূলক ধর্মীয় আচরণের মধ্যে পড়ে না।”
উল্লেখ্য, কর্ণাটক (Karnataka) সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তার পর থেকেই সে রাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল।
[আরও পড়ুন: ‘ইসলামে হিজাব বাধ্যতামূলক নয়’, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক বিতর্কে রায় কর্ণাটক হাই কোর্টের]
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক দেশের গণ্ডিও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পাক বিদেশ মন্ত্রী থেকে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই (Malala Yousafzai), বিখ্যাত ফুটবলার পল পোগবা (Paul Pogba) পর্যন্ত এই ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন। এমনকী হিজাব বিতর্কে ভারতের সমালোচনা করে আমেরিকাও। তবে বিদেশ মন্ত্রকের (External Affairs Ministry) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে উসকানিমূলক মন্তব্য মেনে নেওয়া হবে না।