সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়করে বিপুল ছাড়। রেলে বিরাট বরাদ্দ। আবাস যোজনায় অতিরিক্ত খরচ। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitharaman) বাজেট বক্তৃতায় প্রতিশ্রুতি নেহাত কম নেই। অথচ বাড়তি রোজগারের জোগান কোথা থেকে আসবে তাঁর সংস্থান পুরোপুরি দিতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। যার ফলশ্রুতিতে বাজেটের আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে বাজার থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিতে হচ্ছে সরকারকে।
এদিন বাজেট (Union Budget 2023) বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতির (Fiscal Deficit) পরিমাণ ৫.৯ হতে চলেছে শতাংশ। টাকার হিসাবে বলতে গেলে সেই ঘাটতির অঙ্কটা ১৫ লক্ষ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। এই পুরো টাকাটায় বন্ড বিক্রি করে এবং ঋণের মাধ্যমে বাজার থেকে তুলতে হবে সরকারকে। এই অঙ্কটা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। গত বছর এই ঋণ নেওয়ার পরিমাণটা ছিল ১৪ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কিছুটা টাকা বিভিন্ন বন্ড বিক্রি করে তুলতে সক্ষম হয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank)। সেই অঙ্কটা বাদ দিলেও ১৪ লক্ষ ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে হচ্ছে মোদি সরকারকে।
[আরও পড়ুন: ‘গরিব ও মধ্যবিত্তদের স্বপ্নপূরণের বাজেট’, নির্মলা সীতারমণকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী মোদির]
আগামী বছর এই যে বিপুল অঙ্কের ঋণ নেওয়া হবে, সেই অঙ্কটা চলতি বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সঠিক হিসাব করতে গেলে ৩.২ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এই বিপুল রাজস্ব ঘাটতি আগামী দিনে নির্মলা সীতারমণের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। সেটা অনুধাবন করতে পেরেছেন অর্থমন্ত্রী নিজেও। সেকারণেই তিনি টার্গেট রেখেছেন, আগামী ৩ বছরে অর্থাৎ ২০২৬ সালের মধ্যে এই রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণটা কমিয়ে ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে তাঁর হাতিয়ার হতে পারে বেসরকারিকরণ বা বিকেন্দ্রীকরণ (Privatization)। যা এবারের বাজেটেও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন প্রাক্তন স্ত্রী, রাত কেটেছে ফুটপাতে, কী করেছিলেন অনুরাগ?]
তবে এই বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যমাত্রা আগের তুলনায় অনেকটা কমানো হয়েছে। গতবছর বিভিন্ন সংস্থার বেসরকারিকরণ এবং বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ৬৫ হাজার কোটি তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল সরকার। সেই লক্ষ্য পূরণ করা যায়নি। এবছর নতুন করে আরও ৫১ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন সংস্থার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কিন্তু তাতেও রাজস্ব ঘাটতি কতটা সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে সন্দিহান ওয়াকিবহাল মহল।