সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজেটে (Union Budget 2025) বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে কৃষি, মহিলা এবং যুবসমাজকে। ভাষণের শুরুতেই বললেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বাজেট ভাষণের শুরুটাও করলেন কৃষিক্ষেত্র দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা বেড়েছিল। হয়তো কৃষিক্ষেত্রে বিরাট কোনও ঘোষণা হতে চলেছে। অর্থমন্ত্রী বড় ঘোষণা করলেন বটে, কিন্তু সেটা সাধারণ কৃষকদের মুখে কতটা হাসি ফোটাতে পারবে, সংশয় রয়েছে।
এদিন নির্মলার বাজেটে (Budget 2025) কৃষকদের নিয়ে বড় ঘোষণা হল পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, মোট ১০০টি জেলার ১ কোটি ৭০ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে ওই ১০০টি জেলায় কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে কেন্দ্র। নির্মলার ব্যাখ্যা, মোট ১০০টি এমন জেলাকে চিহ্নিত করা হবে যে জেলায় উৎপাদনের হার কম। ওই জেলাগুলির পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আলাদা আলাদা ফসল চিহ্নিত করা হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ফসল বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। প্রক্রিয়াকরণও হবে ওই জেলাগুলিতেই। অর্থমন্ত্রীর দাবি, ১.৭ কোটি কৃষকের জীবন বদলে যাবে এই প্রকল্পে।
এর বাইরে কৃষিক্ষেত্রে অন্য ঘোষণা বলতে, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৩ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হল। ডেয়ারি এবং ফিশারি শিল্পের জন্য ৫ লক্ষ পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। তুলো চাষিদের জন্য আলাদা তুলো উৎপাদন মিশন, মৎস্যজীবীদের জন্য স্পেশাল ইকোনমিক জোন তৈরির কথাও ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। নির্মলা সীতারমণ এদিন জানিয়েছেন, ডাল উৎপাদনে আগামী ৬ বছরে আত্মনির্ভর হবে ভারত। সেদিকে নজর দিচ্ছে সরকার। প্রত্যাশিতভাবে ভোটমুখী বিহারে বাড়তি নজর দিয়েছেন নির্মলা। বিহারের জন্য আলাদা মাখানা বোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে। যে বোর্ডের কাজ হবে নিজের জেলাতেই মাখানার প্রক্রিয়াকরণ এবং বাজারজাত করার ব্যবস্থা করা।
এ যদি বাজেটে কৃষকদের প্রাপ্তি হয়, তাহলে অপ্রাপ্তির পরিমাণটা অনেক বেশি। দীর্ঘদিন ধরেই কিষান সম্মান নিধি বাড়ানোর দাবি উঠছে। কিন্তু বাজেটে তেমন কোনও ঘোষণা নেই। কৃষিক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপির আইনি গ্যারান্টির দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন চলছে। সার ও কীটনাশকে ভরতুকি বাড়ানোর দাবিও দীর্ঘদিনের। কিন্তু নির্মলার বাজেটে এর কোনও ঘোষণাই নেই।