সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) গরু পাচারে (Cow Smuggling) অভিযুক্ত এক ব্যক্তির ১৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় অসমে (Assam) জঙ্গিদের গুলিতে। এর পরেই অভিযুক্তের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছিল। যার পর বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির খোঁজ পায় পুলিশ। এদিন তাঁর আত্মীয়দের নামে থাকা কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল অসমের কোকড়াঝরে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় গরু পাচারে অভিযুক্ত আকবর বাঞ্জারা ও তাঁর ভাই সলমন বাঞ্জারার। ওই জঙ্গি হামলায় ৪ চার পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। সঙ্কোশ নদীর গা ঘেঁষা গোপন পথ ব্যবহার করে থাকে গরু পাচারকারীরা। সেখানেই অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশের দল। নীরবে আকবর বাঞ্জারা ও তাঁর ভাইয়ের পিছু নেওয়া হয়। এমন সময় জঙ্গিরা হামলা চালায়। যাতে মৃত্যু হয় আকবর ও সলমানের।
[আরও পড়ুন: ‘কল্পনাও করিনি’, সরকারি বাড়ি পেয়ে চোখের জল বাগ মানছে না বিহারের সবচেয়ে গরিব বিধায়কের]
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গরু পাচারকারী দলের কিংপিন শামিম। সে বাঞ্জারাদের আরেক ভাই। আকবরের যাবতীয় সম্পত্তি ছিল মিরাট, মুজাফফরনগর ও জলন্ধরের বাসিন্দা আত্মীয়দের নামে। এদিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোট ১৯ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি। মহাকুমা শাসকের নির্দেশে পুলিশের এসএসপি (SSP) অভিযুক্ত গরু পাচারকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন।
[আরও পড়ুন: বেকারত্ব দূর করতে মিছিল, আমজনতাকেই পেটাল মুখোশধারী আন্দোলনকারীরা! ভাঙচুর অ্যাম্বুল্যান্সেও]
এদিকে রাজ্যে গরু পাচার মামলায় হাই কোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইডি। গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আরজি জানিয়েছিল ইডি। সেই আরজি খারজি করে দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তবে কলকাতায় তাঁকে জেরা করা যাবে বলে খবর। গরুপাচার কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। একাধিকবার তাঁকে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। ৯ জুন সায়গল হোসেনকে তলব করা হয়েছিল। সেদিনই দফায় দফায় জেরার পর গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, সম্পত্তির হিসেবে দিতে পারেননি ধৃত।