সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি মাসেই বাড়ি ফিরেছিলেন। ৪৫ দিনের ছুটি ভালই কেটেছিল। ফেরার সময় কথা দিয়ে গিয়েছিলেন আবার ফিরে আসবেন শিগগিরিই। কথা আর রাখা হল না সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর ২০০ নম্বর ব্যাটালিয়নের হেড কনস্টেবল প্রেমসাগরের। এর বদলে দেওরিয়ার বাড়িতে এল তেরঙ্গায় মোড়া তাঁর মুণ্ডহীন দেহ। নৃশংসতার চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে পাকিস্তান।
[সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বুঝুক সরকার, আর্তি শহিদের মায়ের]
চোখের জল মুছে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে হুংকার দিয়েছেন প্রেমসাগরের কন্যা। বাবার মাথার পরিবর্তে ৫০ জন পাকিস্তানি সেনার মাথা কেটে আনা হোক, এই তাঁর আর্জি। ফুঁসছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার মানুষজনও। জওয়ানের বাড়ির কাছের স্কুলপড়ুয়ারাও নেমে পড়েছেন রাস্তায়। মুখে তাঁদের একটাই স্লোগান – পাকিস্তান মুর্দাবাদ, হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ।
#WATCH: School students along with locals raise ant-Pakistan & Hindustan zindabad slogans outside slain soldier Prem Sagar’s house in Deoria pic.twitter.com/Ego8Ft1qD0
— ANI UP (@ANINewsUP) May 2, 2017
সোমবার সকালে বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় সেনার কৃষ্ণ ঘাঁটি সেক্টরকে লক্ষ্য করে ভারী মর্টার বর্ষণ করতে থাকে পাক বাহিনী। এরপর দুই ভারতীয় জওয়ানকে হত্যা করে মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে রীতিমতো ফাঁদ পেতে এই কাজ করেছে পাক সেনা। বিএসএফ-এর কাছে খবর এসেছিল নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কিছু জঙ্গি কার্যকলাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাই খতিয়ে দেখতে গিয়েছিল বিএসএফ ও সেনার জয়েন্ট পেট্রল টিম। সেই দলের অঙ্গ ছিলেন বিএসএফের হেড কনস্টেবল প্রেমসাগর এবং ভারতীয় সেনার নায়েব সুবেদার পরমজিৎ সিং। তখনই অতর্কিতে আক্রমণ শানায় পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (BAT)। ভারতীয় সেনাও উত্তর দেয়। কিন্তু দুই পক্ষের লড়াইেয়ে শহিদ হন প্রেমসাগর ও পরমজিৎ।
[‘ওরা বাবাকে মেরেছে, ওদের ৫০ জনের মাথা কাটা হোক’]
এরপরই বর্বরতার চুড়ান্ত সীমা অতিক্রম করে পাক সেনা। দুই ভারতীয় শহিদের মুণ্ডচ্ছেদ করে তারা। এই নৃশংসতার বিরুদ্ধেই ক্ষোভে ফুঁসছে দেশবাসী। যোগ্য জবাব দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে দুই শহিদের পরিবার।
The post ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’, শহিদদের মুণ্ডচ্ছেদের প্রতিবাদে স্লোগান স্কুল পড়ুয়াদের appeared first on Sangbad Pratidin.