সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: UPSC’র সর্বভারতীয় চাকরির পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের ‘ভোট সন্ত্রাস’ নিয়ে প্রশ্ন! CAPF-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলার নির্বাচনী হিংসা নিয়ে ২০০ শব্দের একটি নিবন্ধ লিখতে বলা হয়েছে। যা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সর্বভারতীয় চাকরির পরীক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজনীতির রঙ কেন লাগাচ্ছে, প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তাদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে বসানোর আগেই চাকরিপ্রার্থীদের বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়া হচ্ছে।
তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) এই প্রসঙ্গে বলেন, “এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। চাকরির পরীক্ষায় রাজনীতির বিষয় টেনে এনে ব্যবস্থাটাকে নষ্ট করছে BJP। এই ধরনের পরীক্ষাগুলি নিরপেক্ষ হওয়ার কথা। এর মাধ্যমে যারা বিরোধী শিবিরে আছে, তাঁদের বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওঁরা চায় যাঁরাই এই সরকারি চাকরিতে যোগ দিক না কেন, তাঁরাই সরকার বিরোধী হোক।” তৃণমূলের আরেক সাংসদ আবার বলছেন,”এতে আমি একেবারেই অবাক হচ্ছি না। কারণ, বিজেপি সিএপিএফকে নিজেদের সুবিধামতো ব্যবহার করছে। আর বাংলার নির্বাচনেই সেটা দেখা গিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: Pegasus নিয়ে আদালতের বাইরে এত বিতর্ক কেন? মামলাকারীদের প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের]
প্রসঙ্গত, ইউপিএসসি’র ওই পরীক্ষাতেই আরও একাধিক বিতর্কিত প্রশ্ন করা হয়েছিল। ‘কৃষক আন্দোলন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ কিনা, এবং ‘দিল্লিতে অক্সিজেন সরবরাহের সমস্যা’ নিয়েও লিখতে বলা হয়েছে। তবে, এইভাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লিখতে বলা একেবারেই নজিরবিহীন ঘটনা। যদিও এ নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে পালটা বলা হচ্ছে, স্কুল পাঠ্যে যদি নেতাজিকে (Netaji) বাদ দিয়ে সিঙ্গুর আনা যায়, তাহলে এটা একেবারেই সঠিক প্রশ্ন! বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলছেন,”আমার মনে হয় এটা একেবারে সঠিক প্রশ্ন। বাংলায় বহু মানুষ এখন ঘরছাড়া। এখানে দেশভাগের মতো পরিস্থিতি। যারা প্রশাসনিক পদে চাকরিতে ঢুকছে, তাঁদের এসব জানা উচিত।”