shono
Advertisement

উত্তরপ্রদেশের পর উত্তরাখণ্ড, বিজেপি থেকে বহিষ্কারের পর কংগ্রেসের দরজায় প্রভাবশালী মন্ত্রী

রাজ্যের সদ্যপ্রাক্তন মন্ত্রীকে দলে নেওয়া নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত কংগ্রেস।
Posted: 08:16 PM Jan 18, 2022Updated: 09:14 PM Jan 18, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের ছায়া উত্তরাখণ্ডে। বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী হরক সিং রাওয়াত (Harak Singh Rawat) এবার কংগ্রেসের দরজায় কড়া নাড়ছেন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব অনুমোদন দিলেই তিনি হাতের পতাকা হাতে নেবেন। কিন্তু একসময় কংগ্রেসের সঙ্গে ‘বেইমানি’ করার দরুণ হাত শিবিরও তাঁকে নেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত।

Advertisement

হরক সিং রাওয়াত (Harak Singh Rawat) উত্তরাখণ্ডের প্রভাবশালী ঠাকর সম্প্রদায়ের নেতা। রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনে তাঁর ভাল প্রভাব রয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বও ছিল তাঁর কাঁধে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন হরক। ভোটের আগে তিনি দল বদল করে কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিতে পারেন বলেও বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল।

[আরও পড়ুন: বিহারে এনডিএতে অশান্তি চরমে! ‘একপেশেভাবে জোট হয় না’, নীতীশকে কড়া হুঁশিয়ারি বিজেপির]

হরক ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন, সেই জল্পনার মধ্যেই রবিবার রাতে তাঁকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিজেপি (BJP)। সেই সঙ্গে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকেও বরখাস্ত করা হয়। বিজেপির তরফে বলা হয়, হরক সিং রাওয়াত নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্য টিকিট চাইছিলেন। আর বিজেপি যেহেতু পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়, তাই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, হরক এবারে নিজের জন্য নিরাপদ আসন চাইছিলেন। আবার পুত্রবধূর জন্যও টিকিট চাইছিলেন। সেটা পাবেন না বুঝে তলায় তলায় কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: JNU চত্বরের মধ্যেই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা! কাঠগড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা]

দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পরই হরককে আবার বলতে শোনা গিয়েছে, “বিজেপিতে থেকে তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসছিল। তাই কংগ্রেসে ফিরতে চান তিনি।” মুশকিল হল, হরককে ফেরানোর ব্যাপারে কংগ্রেস নেতৃত্ব আবার দ্বিধাবিভক্ত। কারণ, ২০১৬ সালে এই হরক সিং রাওয়াতই কংগ্রেসের ৯ বিধায়ক নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। ফলে রাজ্যে কংগ্রেস সরকার সংখ্যালঘু হয়ে যায়। জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। সেসময়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত (Harish Rawat) বলছেন, হরক যেটা করেছেন সেটা গণতন্ত্র এবং রাজ্যবাসীর সঙ্গে অন্যায়। তাই তাঁকে এজন্য ক্ষমা চাইতে হবে। রাজ্যের অন্য নেতারা আবার দায় ঠেলছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকে। এই টালবাহানায় মঙ্গলবার হরকের যোগদান পিছিয়ে গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী নিজে অবশ্য বলছেন,”কংগ্রেস না ফেরালেও তিনি কংগ্রেসের হয়েই কাজ করবেন। উত্তরাখণ্ডে এবার এমনিও কংগ্রেস জিতবে। তাঁকে নিলে সেই জয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement